আজ ভালো কিছু করার দিন

আজ ৫ অক্টোবর, ভালো কিছু করার দিবস। আপনার মনে হতেই পারে, ভালো কিছু করার জন্য আবার দিবস কি! প্রতিদিনই তো ভালো কিছু করার দিন। তবে কি বছরে কেবল এক দিনই ভালো কাজ করব? বিষয়টা আসলে মোটেও এমন নয়।

যদিও ভালো কিছু করার জন্য আলাদা দিনের প্রয়োজন নেই (প্রতীকী ছবি)
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

কারও জন্য ভালো কিছু করা সব সময়ই নিজের কাছে আনন্দদায়ক। যদিও ভালো কিছু করার জন্য আলাদা দিনের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনই একেকটি দুর্দান্ত দিন, নতুন দিন, ভালো কিছু করার দিন। তবে বিশেষভাবে ভালো কাজে উৎসাহ জোগাতে ও বিষয়টি উদ্‌যাপনের জন্য দিনটি পালন করা হয়। এমনও হতে পারে, এদিন থেকেই আপনি ভালো কিছু করার মর্ম উপলব্ধি করলেন। আর সেটা বাকি জীবন চালু রাখলেন।

নিজের ভেতর সবকিছুর প্রতি সহানুভূতি কিংবা উদারতা জাগিয়ে তোলার অভ্যাস যদি এই বিশেষ দিন থেকে শুরু করা যায়, তবে অসুবিধা কোথায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এদিন পালিত হয় ‘ডু সামথিং নাইস ডে’। তবে কবে থেকে শুরু হয়েছে, এখনো তা জানা যায়নি। দিনটি এখনো আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পারেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে অন্যান্য অনেক দেশই দিনটি উদ্‌যাপন করতে শুরু করেছে।

বিশেষ এই দিন সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, একটি ভালো কাজ পৃথিবীকে আরও এক ধাপ সুন্দরের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। কম সময়ে খুব সাধারণ কাজ করেও আমরা এদিন থেকে ভালো কিছু করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের মুখে হাসি ফোটানো, কোনো পক্ষপাত ছাড়াই মানুষের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেওয়া, প্রিয়জনকে ফুল দেওয়া, গাছ লাগানো, হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলা, গৃহহারা মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইত্যাদি ভালো কাজ দিয়েও দিনটি শুরু করা যায়। পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা হলে হাসিমুখে ‘কেমন আছেন? আপনার দিনটি কেমন কাটল’—এমন সাধারণ একটি প্রশ্ন করেও আপনি একজনকে খুশি করতে পারেন।

কোনো পক্ষপাত ছাড়াই মানুষের বিপদে হাত বাড়িয়ে দিন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

‘ন্যাশনাল ডু সামথিং নাইস ডে অ্যাকটিভিটিস’–এর তালিকায় প্রথমেই আছে স্বেচ্ছাসেবা। আপনি যেকোনো ভালো কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সঙ্গ দিতে পারেন। বন্ধুরা মিলে বৃদ্ধাশ্রমে এক বেলা ভালো-মন্দ খাওয়াতে পারেন। স্থানীয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সপ্তাহে এক দিন ছবি আঁকাও শেখাতে পারেন। বাড়ির ছাদে, উঠানে বা খোলা মাঠে নিজের কমিউনিটির মানুষদের নিয়ে সিনেমা দেখারও আয়োজন করতে পারেন। অপরিচিত মানুষকে যেকোনো কাজে সাহায্যও করতে পারেন। প্রিয় মানুষের টেবিলে তাঁর অজান্তেই রেখে দিতে পারেন ফুলের তোড়া। যদি কিছুই যদি না পারেন, অন্তত পরিচিত মানুষদের ফোন করে তাঁদের খোঁজখবর নিন। মোদ্দাকথা হলো, আজ ভালো কিছু করুন। অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর যে প্রশান্তি, তা আর কোনো কিছুতেই নেই।