হেমন্তের এক কুয়াশামাখা সকালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) চোখে পড়ল একদল তরুণের ছোটাছুটি। গত ২৮ অক্টোবরের কথা। রুয়েট ডিবেটিং ক্লাব (রুয়েট ডিসি) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার মহায়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা।
‘দুর্জয় তারুণ্য দুর্নীতি রুখবেই; যুক্তিতে, প্রত্যয়ে, একসঙ্গে’-এই ছিল ২৮-২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটির প্রতিপাদ্য।
২৮ অক্টোবর সকাল থেকেই প্রতিযোগীরা উপস্থিত হতে শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হন আম্রকানন ঘেরা রুয়েট ক্যাম্পাস চত্বরে। সকাল নয়টায় উদ্বোধন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মো. রবিউল আওয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠক করেন অংশগ্রহণকারী বিতার্কিক ও উপস্থিত অতিথিরা। এর পরপরই শুরু হয় ট্যাব রাউন্ডের মাধ্যমে মূল বিতর্ক পর্ব। ট্যাব রাউন্ডে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে। ৪ ধাপে বিতর্ক শেষে ৮টি দল জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।
পরদিন উৎসব জমে ওঠে আরও। ফাইনাল বলে কথা! বেলা তিনটায় যখন সেমিফাইনাল শুরু হয়, দর্শকের ভিড়ে মুখর ছিল রুয়েট প্রাঙ্গণ। সব শেষে ফাইনালে জায়গা করে নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকেরা। প্রাণবন্ত বিতর্কের শেষে জয়ী হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার এম ফাহিম ‘ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল’ নির্বাচিত হন। আর দলীয়ভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ না পেলেও ব্যক্তিগত নম্বরের ভিত্তিতে ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌর্য দাস।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সাজ্জাদ হোসেইন। এ ছাড়া আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মঞ্জুর-এ-আলম, সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সহ–সমন্বয়ক জাফর সাদিক ও ইকরামুল হক ইভানও উপস্থিত ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও ট্রফি।