গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন কেস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের দল
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণদের নিয়ে সাপ্লাই চেইন কেস প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এডুকেশন অ্যালায়েন্স (আইএসসিইএ)। এটি সাপ্লাই চেইন শিক্ষার আন্তর্জাতিক সংগঠন। এতে বিভিন্ন ব্যবসায়ের সাপ্লাই চেইন–সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করতে হয়। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ডিইউওবি ০১০১’। এই দলের সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের রাওজা হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের ফেরদৌস রহমান, ফাতিন ইশতিয়াক ও নাইমা জিয়া।
গ্লোবাল রাউন্ডে পৌঁছানোর পর আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি।
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন কেস কম্পিটিশন অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতা। জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক—এই তিন পর্যায়ে এটি হয়ে থাকে। গত ৭ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হলো মূল পর্ব। বিশ্বের প্রায় ১৫টি দেশের ৩০টি দল এতে অংশ নেয়। এই সব কটি দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। বিজয়ী হিসেবে শতভাগ বৃত্তিতে ১ হাজার ১০০ ডলার মূল্যের একটি কোর্স (সার্টিফায়েড সাপ্লাই চেইন অ্যানালিস্ট বা সিএসসিএ) করার সুযোগ ও এক হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার পান তাঁরা।
বিজয়ী দলের সদস্য নাইমা জিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জাতীয় পর্যায়ে অনেকবারই আমরা কেস কমপিটিশনে অংশগ্রহণ করেছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কেস কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ এবারই প্রথম। গ্লোবাল রাউন্ডে পৌঁছানোর পর আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি। সেই জায়গা থেকে আমরা অনেক খুশি।’
সাফল্যের কারণ হিসেবে দলগত কাজ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবকে এগিয়ে রাখলেন ফাতিন ইশতিয়াক। রাওজা হোসেন বলেন, ‘নাইমা ও আমি ছোটবেলার বন্ধু। আমরা চারজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে ভালো বন্ধু। বন্ধুত্বের বোঝাপড়া, পরস্পরকে সহযোগিতা প্রতিযোগিতায় কাজে দিয়েছে।’
সাপ্লাই চেইন নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে চান এই শিক্ষার্থীরা। এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছার কথা জানালেন তাঁরা।