‘ভাইরাল’ এই ছবিটি কার, পেছনের গল্পটাইবা কী

বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো ১৪ মে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সমাবর্তন, অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২৩ হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উৎসবমুখর ক্যাম্পাসের আনাচকানাচে লুকিয়ে ছিল নানা অন্য রকম গল্প।

চিকিৎসক রাফিউল ওয়ালিদের এই ছবিটিই ছড়িয়ে পড়েছিলে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবি: জিকো চাকমা

সমাবর্তনের টুপি আর গাউন পরে প্রায় ‘উড়ছেন’ এক তরুণ। পায়ে ফুটবল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে ভেবেছেন, এই তরুণ হয়তো পেশাদার ফুটবলার। আদতে রাফিউল ওয়ালিদ একজন চিকিৎসক।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সেখান থেকেই এমবিবিএস করেছেন। মেডিকেল কলেজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। তাই রাফিউল ওয়ালিদ সমাবর্তন নিয়েছেন এবার। সেখানেই ফুটবলসহ কিছু ছবি তোলেন তিনি।

১৬ মে রাতে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। জানালেন, ছোটবেলা থেকে তিনি একটু অন্তর্মুখী। সহপাঠী বা বন্ধুদের সঙ্গে তেমন বের হতেন না। টিভিতে খেলা দেখতে দেখতে ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন

রাফিউল ওয়ালিদ বলেন, ‘ফুটবল পছন্দ করলেও খুব একটা খেলতে পারতাম না। মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে পেরে উঠতাম না। পরে বাসায় একা বসেই ফুটবল নিয়ে সময় কাটাতে শুরু করি। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় একদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুটবল নিয়ে কিছু কারিকুরির ভিডিও চোখে পড়ে। এর পর থেকে এটাই নেশা হয়ে যায়। কলেজে পড়ার সময়ও ভোরবেলা একা একা মাঠে চলে যেতাম। ফুটবলের চর্চা করতাম। সহপাঠীদের অনেকেও বিষয়টা জানত না। পড়াশোনার চাপে যখন মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, তখন ফুটবলই হতো আমার সঙ্গী।’

মেডিকেলের পড়ার চাপ সামলাতে রাফিউল ওয়ালিদকে সাহায্য করেছে ফুটবলের চর্চা
ছবি: জিকো চাকমা

সমাবর্তনের ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর রাফিউল ওয়ালিদ অবশ্য একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন। প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আর ম্যাসেজ আসছিল। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে দুশ্চিন্তায় সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। পরে যখন দেখেছেন মানুষ প্রশংসা করছে, তখন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন।

রাফিউলের বাড়ি জামালপুর। সমাবর্তনের ছবি তোলার জন্য জামালপুর থেকেই ফুটবল, পাম্পার, জুতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। ছবিটা যে সবাই এত পছন্দ করবেন, তিনি ভাবতে পারেননি। 

আরও পড়ুন