‘হ্যাপি আওয়ার’ ধারণাটি যেভাবে এল

আজ ১২ নভেম্বর—হ্যাপি আওয়ার দিবস

বিশেষ মূল্যছাড় কিংবা একটা কিনলে একটা ফ্রি—পণ্য বিক্রি বাড়াতে এমন নানা রকমের ব্যবস্থা চালু আছে। ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক উৎসব বা দিবসকে কেন্দ্র করে যেমন ছাড় দেওয়া হয়, তেমনই অদ্ভুত সব ঘটনাকে কেন্দ্র করেও দেওয়া হয় মূল্যছাড়। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারের সম্ভাব্য সংগৃহীত রানের ওপর মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল একটি প্রতিষ্ঠান। চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপেও দেখা গেছে এমন। একটি নির্দিষ্ট খেলায় বাংলাদেশ যত রান করবে, তত টাকা ছাড়ের অফার দিয়েছিল একটি মুঠোফোন কোম্পানি।

বিক্রিবাট্টায় এমনই একটি ধারণা ‘হ্যাপি আওয়ার’। বিশেষত রেস্তোরাঁ বা পানশালায় এই পরিভাষাটি খুব পরিচিত। তবে এটি আর এখন কেবল রেস্তোরাঁ বা পানশালায় সীমাবদ্ধ নেই, অন্যান্য ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে একটি নির্দিষ্ট সময়জুড়ে বিশেষ মূল্যছাড়, একটা কিনলে একটা ফ্রি বা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রিজাতীয় ঘোষণা থাকে। অল্প সময়ে বিক্রিবাট্টা বেড়ে যায় অনেক। তৈরি হয় উইন-উইন অবস্থা, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হন।

আজ ১২ নভেম্বর—হ্যাপি আওয়ার দিবস। ১৯১৩-১৯১৪ সালে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর মাধ্যমে হ্যাপি আওয়ার ধারণাটি চালু হয়। এরপর ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক সাময়িকী দ্য স্যাটারডে ইভিনিং পোস্ট-এর একটি লেখার মাধ্যমে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে থাকে। তবে ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবেও কিন্তু এটি উদ্‌যাপন করা যায়। প্রিয় মানুষের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় ঘোষণা করতে পারেন। এই সময়টুকুর মধ্যে তিনি যা চাইবেন, তাই পাবেন। কিংবা পরিবারেও এমন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে। এক ঘণ্টা বা আধঘণ্টা সময়জুড়ে পরিবারে ঘোষণা করতে পারেন ‘হ্যাপি আওয়ার’। অবশ্য শুধু কেনাবেচায় সীমাবদ্ধ না রেখে বিষয়টিকে অন্যভাবেও পালন করা যায়। সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে সবাই মিলে খাবারদাবার, সিনেমা দেখা বা খেলা দেখার জন্য কিছু সময়কে তো ‘হ্যাপি আওয়ার’ হিসেবে পালন করা যেতেই পারে।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে