কথার লড়াই এবার গড়াবে মাঠ পর্যন্ত

সারা দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতেও লেগেছে বিশ্বকাপের হাওয়া। কেউ আবাসিক হল ছেয়ে ফেলেছেন নানা দেশের পতাকায়, কেউবা আয়োজন করছেন রম্য বিতর্ক। বিশ্বকাপ ঘিরে কোন ক্যাম্পাসে কী চলছে? জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাজিল সমর্থকদের দল
ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সময় আমি প্রথম বর্ষে পড়ি। ক্যাম্পাসের সবার মধ্যে সে কী উত্তেজনা! সে এক অন্যরকম বিশ্বকাপ। ভেবেছিলাম ওই একটা আসরই ক্যাম্পাসে থাকাকালীন পাব। কিন্তু করোনার কারণে সেশনজটে পড়ে ক্যাম্পাসে আরও একটা ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর সাক্ষী হয়ে গেলাম। কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ অনেক বড় খেলোয়াড়েরও শেষ বিশ্বকাপ, যাঁদের খেলা দেখে আমাদের বেড়ে ওঠা। তাই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও আমাদের বিশ্বকাপ উন্মাদনায় লাগাম টানতে পারেনি। ক্যাম্পাসে এখন চারদিকে রোনালদো, মেসি নেইমারদের নিয়ে আলোচনা। হলের ক্যানটিন, ক্যাফে, ক্লাসরুম, তপনদা বা হুমায়ূন ভাইয়ের টং, সব জায়গাই ফুটবল জোয়ারে ভাসছে।

ক্যাম্পাসের হলগুলোর বারান্দায় শোভা পাচ্ছে প্রিয় দলের পতাকা। জার্সি কেনার হিড়িক পড়ে গেছে অনেক আগেই। বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ। ক্যাম্পাসের দুই দলের সমর্থকেরা অংশ নেবেন এই ম্যাচে। কথার লড়াই এবার মাঠ পর্যন্ত গড়াবে। এবার বেশ কয়েকটি খেলা বিকেলে দেখা যাবে, তাই সে সময়ে হলের টিভিরুমে হয়তো একটি সিটের জন্য হাহাকার হবে। রাতের ম্যাচগুলো দেখা হচ্ছে হলের সামনে, পুরো ক্যাম্পাসের মানুষ এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। রাত জেগে খেলা দেখে প্রিয় দলের জয়ে বুনো উল্লাস, মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস চক্কর—এসবই তো বিশ্বকাপের আনন্দ৷ সিনিয়র–জুনিয়র সবাই একসঙ্গে মিলে খেলা দেখা, নানা রকম তর্ক–বিশ্লেষণ, এসবের মধ্য দিয়ে কেটে যাবে আরেকটি বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপ ঘিরে আপনার ক্যাম্পাসে কী চলছে, লিখে পাঠাতে পারেন আপনিও। নির্বাচিত লেখাগুলো প্রকাশিত হবে প্রথম আলোয়। লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]। লেখার সঙ্গে পুরো নাম, পরিচয়, ফোন নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ছবি পাঠাতে হবে।