গানের মধ্যেই বেঁচে থাকতে চান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাদিয়া আফরীন
ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে সখ্য। প্রথমবার মঞ্চে যখন গান করেন, তখন তাঁর বয়স পাঁচ বছর। বলছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া আফরীনের কথা। মাটির গান গেয়ে মঞ্চ থেকে অনলাইন—দুই জগৎই জয় করেছেন যিনি।
ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে সখ্য। প্রথমবার মঞ্চে যখন গান করেন, তখন তাঁর বয়স পাঁচ বছর। ‘সোনাদানা, দামি গহনা’ গেয়ে জয় করেছিলেন সবার মন। সেই শুরু। এই গানই তাঁকে এনে দিয়েছে লাখো মানুষের ভালোবাসা।
বলছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া আফরীনের কথা। ফেসবুক তাঁর বর্তমান ফলোয়ার সংখ্যা চার লাখেরও বেশি।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় কেটেছে নাদিয়া আফরীনের ছোটবেলা। মা গান ভালোবাসতেন। নাদিয়ার আগ্রহ দেখে তাঁকে গানের স্কুলে ভর্তি করে দেন। গুরু মৃনাল কান্তি রায়ের কাছে গানের হাতেখড়ি। গ্রামবাংলার গান, মাটির গান তাঁকে বেশি টানে। লোকসংগীতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য।
মাটির গান গেয়ে মঞ্চ থেকে অনলাইন—দুই জগৎই জয় করেছেন নাদিয়া। বরিশাল, কুষ্টিয়া, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্টেজ শো করে পেয়েছেন বহু মানুষের ভালোবাসা।
নাদিয়া আফরীন বলেন, ‘ইউটিউব, ফেসবুক এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আমার গান শুনে মানুষ আমায় এত ভালোবাসবে, এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। এই ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ, ধন্য। এমন ভালোবাসা আমি মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেতে চাই। আমি চাই গানের মাধ্যমেই মানুষ আমাকে আজীবন মনে রাখুক।’
পরিবারের সমর্থন থাকলেও গান গাওয়া নিয়ে আশপাশ থেকে শুনতে হয়েছে নানা মন্তব্য ও কটু কথা। শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছিল নেতিবাচক মন্তব্যের ছড়াছড়ি। তবে সেসবকে পাত্তা দেননি নাদিয়া।
গানকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে নাদিয়া যে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে গেছেন, তা–ও কিন্তু না। কষ্ট হলেও দুটো কাজই একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জনপ্রিয়তা পাওয়া নাদিয়া কখনো রিচ, ভিউ বা ফলোয়ার নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তিনি এগিয়ে যেতে চান নিজের মতো। তাঁর লক্ষ্য এখন নিজের একটি অ্যালবাম।
নাদিয়ার মতে, সব দুঃখ, কষ্ট, চিন্তা থেকে তাঁকে দূরে রাখে গান। যখন খুব খুশি থাকেন, খুশিকে উদ্যাপন করতে গানকে বেছে নেন। আবার মন খারাপের সময়ও গানই হয় তাঁর সঙ্গী। ভবিষ্যতে অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত হলেও গানকে কখনো ছাড়বেন না।