মেটাবলিক সিনড্রোম কী, কেন হয়, হলে কী করবেন

যাঁরা মেটাবলিক সিনড্রোমে ভুগছেন, তাঁদের হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে
ছবি: প্রথম আলো

আজকাল মেটাবলিক সিনড্রোম কথাটি প্রায়ই শোনা যায়। এটি আদতে একটি সমন্বিত বিপাকজনিত অস্বাভাবিকতা। এতে একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি বেশ কয়েকটি বিপাকজনিত সমস্যায় ভোগেন।
মেটাবলিক সিনড্রোম কী
কেন্দ্রীয় বা পেটের স্থূলতা, বর্ডার লাইনে উচ্চ রক্তচাপ (১৩০/৮৫ মিলিমিটার মার্কারি), খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকা, খালি পেটে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি থাকা ও উপকারী চর্বি এইচডিএল রক্তে কম থাকা—এই পাঁচটির মধ্যে তিনটি যদি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে আপনি মেটাবলিক সিনড্রোমে/সিনড্রোম এক্স/ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সিনড্রোমে ভুগছেন।

আরও পড়ুন
মেটাবলিক সিনড্রোমে কোমরের মাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
ছবি: প্রথম আলো

মেটাবলিক সিনড্রোম থাকলে কী হয়
যাঁরা মেটাবলিক সিনড্রোমে ভুগছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে টাইপ–২ ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

কীভাবে বুঝবেন

সিনড্রোমের পাঁচটির মধ্যে তিনটি দেখা হয় রক্ত পরীক্ষা করে আর দুটি পাওয়া যাবে শারীরিক পরীক্ষা করে। এশীয় দেশগুলোর পুরুষদের কোমরের মাপ থাকা উচিত ৩৫ দশমিক ৫ ইঞ্চির কম। আর এশীয় নারীদের কোমরের মাপ থাকা উচিত ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চির কম। এর সঙ্গে বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এশীয়দের জন্য বিএমআই ২৩–এর বেশি হলেও তাকে ওভারওয়েট ধরা হয়ে থাকে। আর তাহলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি থাকে।

যে কারণে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা ইনসুলিন অকার্যকারিতা থাকে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্য ঘুমের ব্যাঘাত, ফ‍্যাটি লিভার ডিজিজ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ও ইউরিক অ্যাসিডের আধিক্যের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

বাড়তি ওজন মেটাবলিক সিনড্রোমের অন্যতম লক্ষণ
ছবি: পেক্সেলস

কেন হয় মেটাবলিক সিনড্রোম
মেটাবলিক সিনড্রোমের শুরুটা কায়িক পরিশ্রম না করা থেকে হয়। প্রথমে দেখা দেয় স্থূলতা। একে একে যোগ হয় উচ্চ রক্তচাপ, প্রিডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। তারপর দেখা দেয় ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ফ‍্যাটি লিভার, ইউরিক অ্যাসিডের আধিক্য। এর সঙ্গে নারীদের অনিয়মিত মাসিক, ব্রণের সমস্যা, মুখে অতিরিক্ত লোম, ঘাড়ের রং কালচে বর্ণ ধারণ করার সমস্যাও হতে পারে।

কী করবেন

  • মেটাবলিক সিনড্রোম থেকে রেহাই পেতে ওজন কমাতে হবে।

  • নিয়মিত হাঁটুন, ব‍্যায়াম করুন।

  • ওজন কমানোর লক্ষ্যে ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার তালিকাটি পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নিন।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

আরও পড়ুন