কাজের একঘেয়েমি দূর করার ৩ উপায়
যেকোনো নতুন কাজেই শুরুর দিনগুলোতে উৎসাহের কমতি থাকে না। চাকরির ক্ষেত্রেও তাই। শুরুর দিকে সবকিছুতেই দারুণ উত্তেজনা থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাতে পড়তে থাকে ভাটা। চাকরিতে প্রতিদিন নিয়ম করে একই ধরনের কাজ করতে হয়। তাতে চলে আসে একঘেয়েমি। যদি আপনি সত্যিই নিজের কাজকে ভালোবাসেন, তাহলে নিজেকে সব সময় উদ্দীপ্ত রাখতে হবে। এবং এ বাবদ অন্য কারও মুখাপেক্ষী হওয়া যাবে না। নিজেকে নিজেই উদ্দীপ্ত করতে হবে। সে জন্য মনোযোগ দিতে পারেন ফলাফলের প্রতি। তাহলে নিজের মধ্যে অজান্তেই অনুপ্রেরণা ও শক্তিবৃদ্ধির চক্র তৈরি হবে। সেটা আপনাকে কাজের প্রতিটি স্তরকে পছন্দ করতে সাহায্য করবে। আপনি কর্মক্ষেত্রে সুখী থাকবেন। দীর্ঘদিনেও পেয়ে বসবে না একঘেয়েমি বা হতাশা। সে জন্য করতে পারেন এই তিন অভ্যাসের চর্চা।
প্রতিদিনের লক্ষ্য বেঁধে নিন
অনেকেই কোনো লক্ষ্য ছাড়াই কর্মক্ষেত্রে আসেন। সামনে যা কাজ পান, করতে থাকেন। তখন যেনতেনভাবে দায়িত্ব সারাটাই উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। এমন ‘যা হবে দেখা যাবে’ মনোভাব নিয়ে কাজ করা যাবে না। তাতে মস্তিষ্ক আর কাজে মনোযোগ দেয় না। এবং দ্রুতই একঘেয়েমি পেয়ে বসে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য প্রতিদিন নিজেই নিজেকে একটা লক্ষ্য বেঁধে দিন। সে অনুযায়ী কাজ করুন। চেষ্টা করুন দিনের লক্ষ্য দিনেই পূরণ করার। তাহলে প্রতিদিনই কিছু অর্জনের ব্যাপার থাকবে। ফলে এমনকি সবচেয়ে একঘেয়ে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজেও আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন।
লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন
কেবল লক্ষ্য বেঁধে নিলেই হবে না। সেটা অর্জনের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। ধাপে ধাপে কীভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন, কাজ করতে হবে সে অনুযায়ী। নইলে যেকোনো কাজই জটিল হয়ে উঠবে। বলা হয়, যে পরিকল্পনা করতে পারে, তার জন্য কোনো কাজই জটিল নয়। আসলে যখন আপনার পরিকল্পনা প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়, তখনই কাজ জটিল হতে থাকে। আর তাই আপনি যদি ঠিকঠাক পরিকল্পনা করতে না পারেন, কাজকে যতই ভালোবাসুন, লাভ হবে না। তখন আপনার আত্মবিশ্বাসই টলে যেতে পারে। আপনাকে পেয়ে বসবে হতাশা।
গুরুত্ব অনুসারে কাজ ভাগ করুন
কোনো কাজ পেলেই আমরা সাধারণত তার থেকে নিজের পছন্দসই অংশটা বেছে নিই। তারপর সেটা দিয়েই করা শুরু করি। অথচ কাজ পাওয়ার পর প্রথমে উচিত সেটা বিশ্লেষণ করা। কোনটা আগে করা প্রয়োজন, সেটা নির্ধারণ করা। গুরুত্ব অনুসারে কাজের ক্রম ঠিক করা। তাতে আরেকটা সুবিধাও আছে। আপনি যখন এভাবে ভাগ করে নেবেন, কম গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পরে করার জন্য রেখে দিতে পারবেন। ফলে কাজের সে অংশটুকু আপাতত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারবেন। আপনার মাথায় কাজের বোঝাও কমে যাবে। তুলনামূলক নির্ভার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: ইঙ্ক