শীতের এই ফুলগুলো বসন্তেও ফুটবে
রোদ, কুয়াশা, শিশির—সবই যাতে পায়, এমন খোলামেলা জায়গায় রাখুন ফুলের গাছ
প্রকৃতিতে শীতের ফুলও কিন্তু নেহাত কম না। বসন্তের আগমনী বার্তায় মন রাঙানোর আগে এসব ফুলেই সাজাতে পারেন আপনার শখের বাগান। এ সময় ফোটে নানা ধরনের গাঁদা। ইনকা গাঁদা, রাজগাঁদা, তারাগাঁদা, চাইনিজ গাঁদা বা রক্তগাঁদা। লাগাতে পারেন ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, নয়নতারা, কসমস, ডেইজি, অ্যাস্টার, ক্যালেন্ডুলা, ভারবেনা, পিটুনিয়া, অ্যানথ্রিনিয়াম, জারবেরা, এমনকি কিছু জাতের গোলাপও (হাইব্রিড গোলাপ)। স্নোবল নামের সুন্দর ফুলটাও এই আবহাওয়ায় ফোটে।
চন্দ্রমল্লিকার মতো দেখতে সাদা থোকার এই ফুলটি আকারে চন্দ্রমল্লিকার চেয়ে বড়। এ সময়ের ফুলের মধ্যে আরও আছে ন্যাস্টারশিয়াম, হলিহকস, ফ্লক্স। ডায়ান্থাসও বেশ জনপ্রিয়। কাছাকাছি অন্য আরেকটি ফুল কারনেশন, যেটাতে দেখা যায় একাধিক রঙের সংমিশ্রণ। ইনকা গাঁদা, হেলিকুসুম, সিলভিয়া আর হাইব্রিড জিনিয়া ফুটে থাকে বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত।
বাহারি ফুলে সাজাতে বাগান
রাজধানীর আসাদগেটে অবস্থিত ফলবীথি হর্টিকালচার সেন্টারের উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা জান্নাতুল মার্জিয়া জানালেন, এসব গাছের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। না পাওয়া গেলে বেলে-দোআঁশ মাটিতেও লাগাতে পারেন। গাছ লাগানোর আগে দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটির সঙ্গে সমপরিমাণ পচা গোবর যোগ করে নিন। পচা গোবর দেখতে কুচকুচে কালো, ঝুরঝুরে। এ গোবর গন্ধহীন। আরও যোগ করতে পারেন ২০-২৫ গ্রাম অর্থাৎ ৪-৫ চা-চামচ টিএসপি সার। রোদ, কুয়াশা, শিশির—সবই যাতে পায়, এমন খোলামেলা জায়গায় রাখুন এসব গাছ। লাগানোর ১০ দিন পর থেকে নিয়মিত সার দেওয়া শুরু করতে হবে।
২ লিটার পানিতে শর্ষের খৈল নিন ১ কেজি। ১২-১৫ দিন ঢেকে রাখুন। মাছি বসলে পোকা হবে। ১: ৪ হিসেবে পানি যোগ করে ব্যবহার করুন। অর্থাৎ, একটি মগে একভাগ তরল সারের সঙ্গে ৪ ভাগ পানি নিতে হবে। এই প্রাকৃতিক সারের সমস্যা একটাই—দুর্গন্ধ। ১০ দিন অন্তর প্রয়োগ করুন।
বিকল্প হিসেবে রাসায়নিক সার, ইউরিয়াও ব্যবহার করতে পারেন। দেড় লিটার পানিতে ১ চা-চামচ ইউরিয়া সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। পানি সেচ হিসেবে দিলেও গাছ পাবে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন।
২ লিটার পানিতে ১ চা-চামচ ইউরিয়া সার ভালোভাবে মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করুন ১০-১৫ দিন অন্তর।
১ লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার এবামেকটিন যোগ করে স্প্রে করুন ১৫ দিন অন্তর। এটি পোকামাকড়নাশক স্প্রে।