৯৯ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দল

সাস্ট গেসফোর্সেস দলের তিন সদস্য
ছবি: সংগৃহীত

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যতখানি শুনেছি, তার অনেকটাই এসেছে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো ফলের জন্য। আমাদের ক্যাম্পাসে প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিংয়ের একটি বড় কমিউনিটি আছে। এখানে আসার কিছুদিন পরই জুনিয়রদের জন্য মেন্টর ঠিক করা হয়। সাধারণত বড় ভাইয়েরাই মেন্টর হন। তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেন,’ বলছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী সৈকত হোসেন।

২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত বুয়েট আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় শাবিপ্রবির দলটি কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হলো, সৈকতের কথায় তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। বিজয়ী দলের তিনি অন্যতম সদস্য। প্রতিযোগিতাটি ছিল দলগত। তিন সদস্যের দল গঠন করে ১০-১২টি সমস্যার সমাধান করতে হয়। সময় পাঁচ ঘণ্টা। কম সময়ে যেই দল যত বেশি সমস্যার সমাধান করতে পারে, র‍্যাঙ্কিংয়ে তাঁরাই এগিয়ে থাকে। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দল সাস্ট গেসফোর্সেস ৩ ঘণ্টা ৫২ মিনিটে ৭টি সমস্যা সমাধান করে। এভাবে ৯৯টি দলকে পেছনে ফেলে তাঁরা হন চ্যাম্পিয়ন। বিজয়ী দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার।

সাস্ট গেসফোর্সেস দলের তিনজনই শাবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। সৈকত ছাড়াও দলে ছিলেন আলফে সানি ও শাহ্জালাল সোহাগ। এ ছাড়া কোচ হিসেবে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ইনামুল হাসান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে দলনেতা শাহ্জালাল সোহাগ বলেন, ‘প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। তাই বিশ্বাস ছিল, চ্যাম্পিয়ন হতে পারব।’

প্রতিযোগিতার আগে বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। সদস্য খুঁজে খুঁজে যখন দল গঠন হলো, তখন প্রতিযোগিতার মাত্র এক মাস বাকি। জোরেশোরে প্রস্তুতি নেবেন, সে উপায়ও নেই। উপায়ন্তর না পেয়ে তাঁরা পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি সেরেছেন। অবসর সময়ে একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্র্যাকটিস কনটেস্টে’ অংশ নিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে কী বেশি কাজে দিয়েছে? উত্তরে সোহাগ বলেন, ‘আমাদের টিম কম্বিনেশন অনেক ভালো ছিল। এর আগে একসঙ্গে অনেক প্রতিযোগিতা করেছি। অনুশীলনের ক্ষেত্রে আমাদের কোচ অনেক সাহায্য করেছেন।’ পরীক্ষার ধকল সামলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে একটু বেশি চাপে পড়তে হয়েছিল বলেই সাস্ট গেসফোর্সেসের আনন্দটা আরও বেশি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন