কর্মজীবী পুরুষের চেয়ে নারীর মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি কেন বেশি

সময়ের সঙ্গে ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে আমাদের জীবন। বাড়ছে পেশাগত চাপ। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণও দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে কর্মজীবী পুরুষের চেয়ে কর্মজীবী নারীরা একটু বেশিই ঝুঁকিতে থাকছেন। ভারতের পুনের একদল চিকিৎসকের গবেষণায়ও তার প্রমাণ মিলেছে। এর কিছু কারণও চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। যেগুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ভীষণ জরুরি। চলুন সেসব কারণ জেনে নিই, যাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে এসব ব্যাপারে সচেতন হতে পারি।

নারীদের কেবল ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবলেই চলে না, তাঁদের ওপর থাকে সমাজের নানা প্রত্যাশাছবি: প্রথম আলো

ঘরের কাজের দায়িত্ব

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ঘরের প্রায় সব কাজের দায়িত্বই থাকে নারীর কাঁধে। সম্প্রতি এই ধারায় খানিকটা পরিবর্তন এসেছে। তবে তা সামগ্রিক অর্থে নয়। সব ঘরে তো নয়-ই। ফলে সারা দিন অফিসে কাজ করার পর রাতে বাড়িতে এসে আবারও ঘরের কাজে কোমর বেঁধে নামতে হয় নারীদের। এ কারণে নিজের মনের যত্ন নেওয়ার ফুরসত মেলে কম।

সামাজিক চাপ

নারীদের কেবল ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবলেই চলে না। তাঁদের ওপর থাকে সমাজের নানা প্রত্যাশা। তাঁকে দেখতে সুন্দর হতে হবে। সব সময় সেজেগুজে থাকতে হবে। সময়মতো বিয়ে করে সন্তান নিয়ে সংসার গোছাতে হবে। এমনকি শরীর মুটিয়ে গেলেও পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি কথা শুনতে হয়। চাকরির পাশাপাশি নারীদের এসব সামাজিক চাপও সামলাতে হয়।

চাকরির পাশাপাশি নারীদের সামাজিক চাপও সামলাতে হয়
ছবি: প্রথম আলো

অসম অফিস বাস্তবতা
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কেবল ঘরেই নয়, অফিসেও নারীকে উঁচু আসনে দেখতে চায় না। ফলে প্রায়ই দেখা যায়, নারী কর্মীদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয় কম। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষ সহকর্মীদের সমান সুযোগ পান না। আবার অনেক অফিসে পরিবেশটাই থাকে তাঁদের প্রতিকূলে। সেই অপ্রাপ্তি বা বঞ্চনা থেকে তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা।

পারিবারিক দায়িত্ব

নারীদের নানা রকম পারিবারিক দায়িত্বও সামলাতে হয়। নিজের ও স্বামীর পরিবারের খুঁটিনাটি বিষয়ে রাখতে হয় নজর। সন্তানের দেখাশোনা তো বটেই, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টাও মূলত তাঁদের ঘাড়েই থাকে। সে কারণে ছুটি নিতে গিয়েও অনেক সময় পোহাতে হয় ঝক্কি। এ সবই প্রভাব ফেলে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস