ফিলিস্তিনের পাশে বাংলাদেশের সংগঠন: ঈদের দিন খেলনা, ক্যানডি ও খাবার পেল শিশুরা

ঈদের দিন শিশুদের হাতে খেলনা, ক্যানডি, বিস্কুট ও জুস তুলে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

গাজা এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত, অবরুদ্ধ শহর। সেখানকার অভুক্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশেরই একটি সংগঠন—অঙ্কুর ফাউন্ডেশন। গত ডিসেম্বর থেকে গাজায় কাজ করছে তারা। সংগঠনটি বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি টাকার (৯২ হাজার মার্কিন ডলার) খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তারা অবরুদ্ধ গাজায় পৌঁছে দিয়েছে।

প্রথম ধাপে পাঠানো হয়েছিল ৫০ হাজার ডলারের ত্রাণসামগ্রী। দ্বিতীয় ধাপে পাঠানো হয়েছে বাকিটা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় সহায়তা পৌঁছেছে তারা।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে আছে বিভিন্ন সবজি, ভাত ও মাংস, ময়দা, চিনি, চাল, তেল, পনির, পাস্তা, চা, কৌটাজাত সাদা মটরশুঁটি, ছোলা প্রভৃতি।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে আছে বিভিন্ন সবজি, ভাত ও মাংস, ময়দা, চিনি, চাল, তেল, পনির, পাস্তা, চা, কৌটাজাত সাদা মটরশুঁটি, ছোলা প্রভৃতি।
ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়া ঈদের দিন শিশুদের হাতে খেলনা, ক্যানডি, বিস্কুট ও জুস তুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অঙ্কুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শায়েস্তাগীর চৌধুরী বলেন, ‘গাজা বা আশপাশের এলাকায় বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। স্থানীয় চারজন স্বেচ্ছাসেবী আমাদের সাহায্য করেছেন। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এ কাজ করছেন।’

গাজায় যেসব এলাকার মানুষ সবচেয়ে দুরবস্থায় আছেন, সেসব জায়গাতেই খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন আয়োজকেরা। শায়েস্তাগীর চৌধুরী বলেন, ‘মোট পাঁচটি জায়গায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এসব জায়গায় খাবার সরবরাহ করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, খাবার জোগাড় করাটাও একইভাবে চ্যালেঞ্জিং।

গাজায় যেসব এলাকার মানুষ সবচেয়ে দুরবস্থায় আছেন, সেসব জায়গাতেই খাবার পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন আয়োজকেরা
ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধের কারণে চড়া মূল্যে খাবার কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় টাকা থাকলেও খাবার পাওয়া যায় না।’ এখন পর্যন্ত এক লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে ৯২ হাজার মার্কিন ডলারের ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এসব ত্রাণ আরও এক মাস সরবরাহ করা যাবে বলে জানালেন শায়েস্তাগীর চৌধুরী।