আপনার ৮০ শতাংশ সমস্যার সমাধান দেবে এই পাঁচ অভ্যাস

জীবনে সবকিছুই ফুরিয়ে যায়। কেবল সমস্যার যেন শেষ নেই। একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। কিছু সমস্যা আছে জীবনে খুবই সচরাচর, প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশি কমন। ‘মেইনলি ইন্টারপ্রিনিউ’ মাত্র পাঁচ অভ্যাসে আপনার জীবনের এ রকম ৮০ ভাগ সমস্যা সমাধানের কথা জানাচ্ছে।

১. আগের দিন রাতেই ভেবে রাখুন কী কী করবেন

পরদিন সকালে নয়, বরং আগের দিন রাতেই টুকে রাখুন কী কী করবেন। কেবল এটুকুতেই দিনটি অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এটি আপনার দিনটি ভালো কাটার খুবই সহজ একটা নিয়ম। সকালে কী খাবেন, কী পরবেন—সেটিও রাতেই ঠিক করে রাখুন। এটুকুই আপনাকে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে দেবে।

পরদিন সকালে নয়, বরং আগের দিন রাতেই টুকে রাখুন কী কী করবেন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

২. যে কাজটি করতে পাঁচ মিনিটের কম সময় লাগে, সেটি এখনই করুন, এক্ষুনি!

হ্যাঁ, এ রকম ছোট ছোট কাজ জমে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন সেগুলো আর পাঁচ মিনিটে হয় না। বলা হয়, যে কাজটি আপনি আজ করতে পারেন, সেটি কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না। আর এখানে বলা হচ্ছে, যে কাজটি করতে পাঁচ মিনিটের কম সময় লাগে, সেটি এখনই করে ফেলুন। এ সহজ কাজগুলোই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর সিঁড়ি।

৩. সকালের রুটিনে হেরফের নয়

সকালটা ঠিক করে দেয়, দিন কেমন যাবে। সকালের রুটিন ঠিকঠাক রাখুন। ভোরবেলা উঠুন। সেটা ছয়টা হলেই সবচেয়ে ভালো। তবে সাতটার পর নয়। প্রতিদিন একই সময়ে উঠুন। ব্যায়াম করুন। সকালের রোদ গায়ে মাখুন। মেডিটেশন করুন। ধ্যানে আপনার মনোযোগ বাড়বে। ফোকাস হারাবে না সহজে। পেটপুরে নাশতা করুন। আর সেটি স্বাস্থ্যকর হওয়া চাই। এরপর তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ুন কর্মস্থলে। অনেকে ঘুম থেকে উঠেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সেরে নেন। সেটিও আপনাকে একঝটকায় সারা দিনের জন্য তৈরি করে ফেলে।

৪. গুরুত্ব অনুসারে কাজ সাজান

যে কাজটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে, সেটি সবার আগে করুন। এভাবে যেটি সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ, করলে ভালো, না করলেও চলে, সেটিকে সবার শেষে রাখুন। কেননা আমাদের ব্যস্ততম জীবনে এমনিতেই সময় নেই। এমন পরিস্থিতিতে কাজ বুঝে কৌশলে করলে সময় আর শ্রম দুটোই কম যাবে, ফল পাওয়া যাবে বেশি। আর সেই কৌশল আপনাকেই বের করতে হবে।

৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

আট ঘণ্টা ঘুমাবেন। প্রতিদিন রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পড়বেন। ভোর ছয়টায় উঠে যাবেন। দুটো কাজের মাঝে বিরতি নেবেন। দরকারে ন্যাপ (ছোট্ট ঘুম) নেবেন। চা বা কফির বিরতি নেবেন। বিকেলটা নিজের জন্য রাখবেন। হালকা স্ন্যাকস, সঙ্গে আড্ডা—এগুলো জীবনের জরুরি অনুষঙ্গ। বিশ্রাম আমাদের চনমনে আর কর্মক্ষম রাখে। মনোযোগ বাড়ায়।