প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার কাছে থেকে প্রথম উপহারটা কী পেয়েছিলেন?
ফুল, চকলেট, মানিব্যাগ কিংবা পছন্দের পোশাক—হতে পারে এমন অনেক কিছুই। কিন্তু তা বলে মশার স্প্রে! ঠিক তা–ই। হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে পাওয়া মেহের আফরোজ শাওনের প্রথম উপহার ছিল দশ বোতল অ্যারোসল। উপহার হিসেবে বিচিত্র হলেও প্রয়োজনের বিচারে এটি কিন্তু অতি দরকারি। অন্তত মশা উপদ্রুত এই শহরের জন্য তো বটেই।
বিভিন্ন জীবনঘাতী রোগের বাহক মশা। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগগুলোর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ থাকতে হয় বছরের বড় একটি সময়। শারীরিক আকৃতিতে অতি ক্ষুদ্র। কিন্তু এই ক্ষুদ্র পতঙ্গই নাভিশ্বাস তুলে দিতে পারে। যেমন ছড়ায় ছড়ায় বলেছেন অন্নদাশঙ্কর রায়, ‘ক্ষুদ্র মশা/ মশার কামড় খেয়ে আমার স্বর্গে যাবার দশা’!
তবে মশা নিয়ে রোমান্টিকতাও কিন্তু কম নয়। সদ্য প্রেমে পড়া তরুণের কাছে তো কতবারই মনে হয়, ইশ যদি প্রেয়সীর গালে বসা ওই মশা হতে পারতাম! এদিকে প্রেমিকা বা বউয়ের গালে বসা মশা মারতে গিয়ে বিপদেও পড়েন কেউ কেউ। মশা মারার ছলে গালে থাপ্পড়—এমন অভিযোগে নাস্তানাবুদ হতে হয়। মশা সংগীতের কথাই বা আর বাদ থাকে কেন! বহু কাঙ্ক্ষিত ঘুমের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে বিরক্তিকর ভ্যান ভ্যান।
আজ ২০ আগস্ট, বিশ্ব মশা দিবস। ১৮৯৭ সালের এই দিনেই আবিষ্কৃত হয় মশার সঙ্গে ম্যালেরিয়া রোগের সম্পর্ক। আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস। মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। দ্য লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের উদ্যোগে ১৯৩০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি পালিত হচ্ছে।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে