কাটাকুটি ঠিকঠাক

মাংস কাটাকুটির কাজে দরকার হয় নানা ধরনের ছুরি

ঈদের আগে এ সময় মাংস কাটার নানাধরনের ধারালো যন্ত্রপাতির কদর বেড়ে যায়। নতুন কেনার পাশাপাশি পুরোনোগুলোও ধার দিয়ে ঠিকঠাক করে নেওয়া প্রয়োজন।

কোরবানির মাংসের স্বাদ নাকি ভিন্নতর। ভোজনপ্রিয় বাঙালি কিন্তু দেশি রান্নার বাইরেও নানান দেশের নানান ধাঁচের রান্নার আয়োজন করে বাড়িতে। তাতে রসনাবিলাস হয়ে ওঠে বহুমাত্রিক। রান্নার এমন আয়োজনের জন্য মাংস কাটতে হবে ঠিকঠাক আকারে, ঠিকঠাক প্রকারে। ছুরি-বঁটির মতো সাধারণ গার্হস্থ্য যন্ত্রপাতির বাইরেও সহজভাবে কাটাকুটির কাজ সারার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বাড়িতে রাখতে পারেন। গার্হস্থ্য জীবন হবে স্বাচ্ছন্দ্যের।

নানান আকারের, নানান ধরনের ছুরি বা চাকুর ব্যবহারিক সুবিধা অনেক। দুই ধারি (দুই পাশ ধারালো) ছুরি কিংবা সুচালো মাথার ছুরি দিয়ে কাজ করতে সুবিধা হবে। ছুরির সেট যেমন বাসায় রাখতে পারেন, তেমনি আলাদাভাবে প্রয়োজনীয় আকারের ছুরিটি কিনে নিতে পারেন। বিভিন্ন আকারের চাপাতিও কাজে আসবে। কাঠের চাকার ওপর রেখে কাটাকুটির কাজ করলে সুবিধা হবে। এমনটাই জানা গেল রন্ধনবিদ ও গৃহস্থালির বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।

সাধারণ যন্ত্রপাতি

কোরবানির পর প্রাথমিকভাবে মাংস টুকরা করার জন্য যেসব ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, সেগুলো সাধারণত পেশাদার ব্যক্তিরাই জোগাড় করে আনেন, বাড়িতে এগুলো না রাখলেও কাজ চলে যায়। একটু ভারী, লোহার ছুরি আর বঁটি দিয়ে হাড়সহ মাংস কেটে নিতে পারেন। হাড় কাটার প্রয়োজনে ছোট কুড়ালও কাজে লাগানো যায়। দা-ও কাজে লাগতে পারে।ঈদের মাংস দিয়ে কাবাব তো করেন অনেকেই। পেশাদার ব্যক্তি দিয়ে করিয়ে নেওয়া ছাড়াও বাড়িতেই কিন্তু হতে পারে কাবাবের জন্য মাংস কিমা করার কাজ। মিট গ্রাইন্ডার দিয়ে মাংস কিমা করার কাজটা করতে পারেন অনায়াসেই। আবার ব্লেন্ডারের সঙ্গেও মাংস কিমা করার ‘অপশন’ থাকে। মিট টেন্ডারাইজারের (ছোট হাতুড়ির মতো যন্ত্র) সাহায্য প্রয়োজন হয় স্টেক তৈরির কাজে। এমনটাই জানালেন ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত।

মাংস কাটার সময় প্রয়োজন ধারালো ছুরির

কাবাব-স্টেকের স্বাদ পেতে

ঈদের মাংস দিয়ে কাবাব তো করেন অনেকেই। পেশাদার ব্যক্তি দিয়ে করিয়ে নেওয়া ছাড়াও বাড়িতেই কিন্তু হতে পারে কাবাবের জন্য মাংস কিমা করার কাজ। মিট গ্রাইন্ডার দিয়ে মাংস কিমা করার কাজটা করতে পারেন অনায়াসেই। আবার ব্লেন্ডারের সঙ্গেও মাংস কিমা করার ‘অপশন’ থাকে। মিট টেন্ডারাইজারের (ছোট হাতুড়ির মতো যন্ত্র) সাহায্য প্রয়োজন হয় স্টেক তৈরির কাজে। এমনটাই জানালেন ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত।

মাংস কিমা করার কাজটি সহজ করে দেয় যন্ত্র

এক যন্ত্রে নানান সুবিধা

যন্ত্রপাতি সবই না হয় থাকল। কিন্তু এই পরিশ্রম বা কাটাকুটির কৌশল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে অনভিজ্ঞদের। কাজ করতে করতে কাজ নিখুঁত হয়ে ওঠে তো অবশ্যই। তবে এতক্ষণ যত যন্ত্রের কথা বলা হলো, সেগুলো দিয়ে কাজ করতে গেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাংসের আকার নষ্ট হয়ে যেতে পারে, কোনোখানে থেঁতলে যেতে পারে। এমন সব সমস্যা এড়িয়ে পরিপাটিভাবে মাংস কাটতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে জানালেন রান্নাবিদ সিতারা ফেরদৌস। ইলেকট্রিক মিট অ্যান্ড বোন কাটিং স মেশিনের বিভিন্ন রকম ব্লেডের সাহায্যে অনায়াসে মাংসের টুকরা করে নেওয়া যায় মনের মতো করে। টি-বোন, স্টেক, রোগান্ডিস, রেজালা—যেটিই করতে চান, মাংস কেটে নিতে পারেন এই যন্ত্র দিয়েই। মাংসের কোন অংশ কীভাবে কাটতে চান, সেটি ঠিক করে প্রয়োজনীয় ব্লেডের সহায়তায় কেটে নিন আর বানিয়ে ফেলুন মজাদার কোনো পদ।