চন্দনে চমৎকার

ভারতীয় উপকথায় চন্দনকে চমৎকার বৃক্ষ বলা হয়েছে। আফ্রিকান ব্ল্যাকউডের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি কাঠ এটি। মূলত, চন্দন একধরনের কাঠ, যা এসেছে সান্তালাম বর্গের গাছ থেকে। সুগন্ধিযুক্ত এই কাঠ জন্মায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র। ধর্মচর্চা ও মৃতদেহ সৎকারে চন্দন ব্যবহার করা হয়।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

চন্দনের নানাবিধ ব্যবহার থাকলেও এর কাঠ ও তেল রূপচর্চার জন্য বেশি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত। এর থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক ত্বকের জটিল সব সমস্যার সমাধান করে। আর মানুষ বর্তমান সময়ে এসে আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে চাইছে। তাই বাজারের রাসায়নিক প্রসাধনীর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানেই রূপচর্চায় আগ্রহ সবার। এ ক্ষেত্রে চন্দন হতে পারে চমৎকার এক উপকরণ।

* হলুদবাটা আর চন্দনের গুঁড়ার পেস্ট মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। অল্প দিনেই বাড়বে মুখের উজ্জ্বলতা।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

* প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে চন্দন, যা ত্বকের শুষ্কতা রোধ খুবই কার্যকর। এ জন্য ১ চা–চামচ চন্দনগুঁড়ার সঙ্গে ২ চা–চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

* চন্দনগুঁড়ার সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। এটি ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

* মুখের ত্বকের ব্রণ, মেছতাসহ বিভিন্ন দাগ মুছে দিতে চন্দনের তুলনা নেই। ১ চিমটি হলুদ, গোলাপজল, মধু ও চন্দনগুঁড়ার পেস্ট নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হয়।

* কালচে দাগমুক্ত ত্বক পেতে চন্দন–দুধের মিশ্রণও অত্যন্ত উপকারী।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

* গোলাপজল, গ্লিসারিন ও চন্দনগুঁড়ার পেস্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে। তবে তা সপ্তাহে অন্তত চার দিন ব্যবহার করতে হবে। ভালো ফলের জন্য কমপক্ষে ২০ মিনিট মেখে রেখে দিতে হবে।

* শসার রস, দই, গোলাপজল, চন্দনগুঁড়ার মিশ্রণ রোদে পোড়া দাগ দূর করে। এই জাদুকর প্যাক ত্বক থেকে শুধু রোদে পোড়ার চিহ্ন দূর করবে না, জ্বলুনিও প্রশমিত করবে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

এর আরও কিছু ব্যবহার রয়েছে যেমন। যখন জুঁই, গন্ধরাজ, কমলা ফুল, রজনীগন্ধা ইত্যাদি সাদা ফুলের সঙ্গে মেশানো হয়, তখন তা হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর সৌরভের ভান্ডার। খাঁটি চন্দনে একধরনের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকম কসমেটিকস ও সুগন্ধিতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ত্বকের নানা সমস্যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।