ত্বকচর্চায় মৌসুমি ফল
বাজারজুড়ে এখন মৌসুমি ফলের সমারোহ। রসাল এসব ফল শুধু যে অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তা-ই নয়, ত্বকচর্চায়ও বেশ কাজে দেয়। এই ফলগুলো প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে। ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা এবং রোদে পুড়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা করে। এসবই জানালেন হারমোনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। জেনে নিন গ্রীষ্মের সহজলভ্য এই ফলগুলো দিয়ে ত্বকচর্চার কিছু টিপস।

বাঙ্গি
মৌসুমি ফলের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে বাঙ্গির জুড়ি মেলা ভার। ফেসওয়াশ ব্যবহারে যাঁদের ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, তাঁরা বিকল্প হিসেবে বাঙ্গি ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ বাঙ্গির পেস্ট নিয়ে এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ ও এক চা-চামচ মধু মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বাঙ্গির সঙ্গে লাল আটা মিশিয়ে ত্বকে লাগালে উপকার পাবেন। এ ছাড়া শুধু বাঙ্গি জুস করে তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগালেও উপকার পাবেন।

আম
আমের মধ্যে আছে ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, যা ত্বকে ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে পাকা আমের কাথের সঙ্গে ওটমিল দিয়ে তৈরি মিশ্রণ যেকোনো ধরনের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা সান বার্ন বা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে পাকা আমের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তা ছাড়া হাত ও পায়ের মরা কোষ তুলতে আমের সঙ্গে চালের গুঁড়ার মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। মিশ্রণটি ত্বকে শুকিয়ে এলে হালকাভাবে হাত দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


জামরুল ও লিচু
শসার মতো জামরুল ও লিচুর রসও সব ধরনের ত্বকেই প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। জামরুল অথবা লিচু থেঁতো করে রসটুকু বের করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তুলা দিয়ে রসটুকু পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তবে যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা লিচুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না।

সফেদা
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে জাদুর মতো কাজ করে এই ফলটি। প্যাক তৈরি করতে সফেদার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। একটু বয়স বাড়লে ত্বক ঝুলে যাওয়ার যে সমস্যা দেখা যায়, এটি দূর করতেও সাহায্য করবে এই প্যাকটি।

কাঁঠাল
অনেকের শরীরে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যায় কাঁঠালের রসের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে পুরো শরীরে লাগাতে পারেন। যাঁদের ত্বক একটু বেশি শুষ্ক, তাঁরা দুধ ও মধুর পরিবর্তে তিলের তেল ব্যবহার করুন। একটু আঠালো হলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কাজ করবে এই মিশ্রণটি। তবে কাঁঠালের গন্ধ যাঁরা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা এটা ব্যবহার না করলেই ভালো করবেন।