পোরের সমস্যা সমাধানে

ছবি: প্রথম আলো

ত্বকের অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে পোর বা ত্বকে ছোট ছোট ছিদ্র হওয়া। শুরুতে পোর হলে তা ত্বকে খুব বেশি দৃশ্যমান হয় না। যে কারণে যত্নও নেওয়া হয় কম। এর ফলে পোরগুলো বড় হতে থাকে এবং ত্বকের মসৃণতা কমতে থাকে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

পোর কী

পোরের সমস্যাটি অনেকের কাছেই অজানা। সুস্থ ও সুন্দর ত্বক চাইলে প্রথমেই জানতে হবে পোর কী এবং কীভাবে ত্বকের ক্ষতি করে। পোর দিয়ে শরীরের প্রাকৃতিক তেল এবং ঘাম বের হয়। পোর সবার ত্বকেই থাকে কিন্তু পোরের মুখ যখন বড় হয়ে ছিদ্রের মতো হয়ে যায়, তখনই সমস্যা তৈরি হয়।

কেন হয়

পোরের সমস্যা কমাতে চাইলে প্রথমেই জানা দরকার, কেন হয় এ সমস্যা। যেহেতু পোর সবার ত্বকেই থাকে কিন্তু হঠাৎ কেন মুখ খুলে তা ছিদ্রের মতো হয়ে যায়? এর কারণ হলো ত্বকে প্রচুর ব্রণ হওয়া, রোদের ক্ষতি ও ত্বকে সেবাম বেড়ে তৈলাক্ত হওয়া। ত্বকে একবার পোরের সমস্যা তৈরি হলে সম্পূর্ণভাবে কমানো কঠিন। তবে কিছু উপায়ে পোরের আকার ছোট রাখা যায়।

ছবি: পেকজেলসডটকম

ক্লিনজার ব্যবহার

পোর কমাতে চাইলে প্রথমে করতে হবে সহজ এই কাজ। ত্বকে ময়লা ও তেল থাকলে পোর ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। তাই সব সময় একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বক পরিষ্কার না রাখলে পোরের মধ্যে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস, যা পোরকে আরও বড় করে তোলে।

ত্বক পরিষ্কার করা

ত্বক পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। এতে ত্বকের ছিদ্রগুলো পরিচ্ছন্ন থাকবে। আর পরিষ্কার থাকলে পোর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়। সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে কয়েক দিনে অল্প অল্প করে ময়লা ও তেল ত্বকের পোরে জমতে থাকে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

তৈলাক্ত ত্বকেও ময়েশ্চারাইজার

ত্বক তৈলাক্ত হলে একটা ভুল অনেকেই করেন। তা হলো একেবারেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা। ময়েশ্চারাইজার তৈলাক্ত ত্বককে আরও তৈলাক্ত করবে, এমন ধারণা থেকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করেন। ময়েশ্চারাইজার সেবাম কমিয়ে ত্বকে কম তেল তৈরিতে সাহায্য করে।

ক্লে মাস্ক ব্যবহার

পোর কমানোর আরেকটি উপায় হলো ক্লে মাস্ক ব্যবহার। এটি ত্বকের তেল ও ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে ছোট করে মুখের পোর। অনেক ধরনের ক্লে মাস্ক এখন পাওয়া যায়। ক্লে মাস্কও সপ্তাহে এক দিন বা প্রয়োজন বুঝে দুই দিন ব্যবহার করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, যেদিন এক্সফোলিয়েট করা হবে, সেদিন ক্লে মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

সানস্ক্রিন ব্যবহারে ভুল নয়

যেহেতু পোর হওয়ার একটি কারণ হলো রোদ। তাই নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিকল্প নেই। বাইরে যাওয়ার ঠিক ১৫ মিনিট আগে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। তবে অন্য সানস্ক্রিনের থেকে এসপিএফ-৩০ আছে, এমন সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য উপকারী।

যা ব্যবহার করবেন না

এমন কিছু উপাদান আছে, যা ত্বকের পোর কমাতে একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। টুথপেস্ট ও বেকিং সোডা—এই দুই উপাদান একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকেই ত্বকের দাগ, ব্রণ ও পোর কমাতে এসব ব্যবহার করেন। কিন্তু এসব ব্যবহারে ত্বকে আরও বেশি তেল তৈরি হয় এবং র‍্যাশও হতে পারে। আবার অনেক সময় স্কিনবার্নও হতে পারে।