শ্যাম্পুর সঙ্গে লেবু আর চিনিতেই সুন্দর চুল স্বাগতার

দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। বিশেষ এই দিনে নিজেকে আকর্ষণীয় সাজে সাজাতে চুলেও চাই নজরকাড়া সাজ। সে বিষয় নিয়েই ‘কুমারিকা প্রেজেন্টস-চুলের সাজে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংগীত তারকা স্বাগতা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন সারা ফাইরুজ জাইমা।

সারা ফাইরুজ জাইমার উপস্থাপনায় অতিথি ছিলেন অভিনেত্রী ও সংগীত তারকা স্বাগতা

শুরুতেই স্বাগতা বললেন মহামারিকালের কিছু অসুবিধার কথা। বললেন, সবার জীবন থেকেই দুটো বছর হারিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা বড় হয়ে যাচ্ছে। যে সময়টায় তাদের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ দক্ষতা অর্জনের কথা, সেটি হচ্ছে না। যারা প্যানডেমিকে জন্ম নিয়েছে, তারা মানুষই চেনে না। সারা জীবনই স্বাগতার ঈদের প্রস্তুতি হলো কাজ। কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ করেছেন। আর বেশ কিছু উপস্থাপনা করেছেন। সারা জীবন অনেক শপিং করেছেন। এবার ঈদে তাই আর কোনো শপিং করেননি। শপিংয়ের টাকা জমিয়ে রেখেছেন। দরিদ্র–অসহায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন।

স্বাগতা জানালেন, তাঁর আলমারিতে প্রচুর শাড়ি আছে। যেগুলোর ভাঁজ ভাঙা হয়নি কখনোই। সে রকমই কোনো একটি শাড়ি পরবেন। আর ঈদে নিজের ভাই-বোন সভ্যতা ও সন্ধি ছাড়াও দুই খালাতো বোনের জন্য রান্না করবেন। ওরাও নাকি স্বাগতার হাতের রান্না খুবই ভালোবাসেন।

দীঘল চুল বেণি করে দেখাচ্ছেন স্বাগতা

চুলের যত্ন নিয়ে বললেন, ‘আমাদের পেটকে খেতে দিতে হয়। তাতে শরীরে পুষ্টি জোগায়। তেমনিভাবে চুলকেও খেতে দিতে হয়। আর চুলের খাওয়া হলো তেল। চুলে তেল দিতেই হবে। আমি তেল দিতে খুবই পছন্দ করি। গ্রামের কোনো মেয়ের চরিত্র হলে আমি কেবল চুলে তেল দিয়েই মেকআপ সারি। একের ভেতর দুই আরকি।’ এই অভিনেত্রী জানান, তিনি তেলের সঙ্গে প্রায়ই ভিনেগার মিশিয়ে গরম করে সেটা মাথার তালুতে দেন। এক রাত রেখে গোসল করে নেন। এতে খুশকির সমস্যা থাকে না। গরমে যদি সেটাও না পারেন, সে ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস আর এক চা–চামচ চিনি মিশিয়ে মাথায় লাগান। সেটি ১৫ মিনিট মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলেন। দু–তিন দিন এভাবে শ্যাম্পু করলেই খুশকি চলে যাবে। স্বাগতা বললেন, শাড়ির সঙ্গে তিনি চুলগুলো বেঁধে ফেলবেন। বললেন, ‘খুব গরম। শাড়ি পরে রান্না করব। তাই বেঁধে ফেলব।’

স্বাগতার মাথায় অনেক চুল। তাই তিনি বেশিক্ষণ খোঁপা করে রাখতে পারেন না। মাথা ভারী হয়ে ব্যথা করে। তাই সবচেয়ে সহজ হলো বেণি করে ফেলা। জিমে যাওয়ার আগে বেণি করেন স্বাগতা। তাতে চুল এলোমেলো হয় না। অনেক রকম হেয়ারস্টাইল করেন স্বাগতা। তার ভেতর জিমে যাওয়ার সময় যেটা করেন, ঈদের দিনও সেই হেয়ারস্টাইলই করবেন। এখনো এর কোনো নাম নেই। আপাতত ‘স্বাগতা’স স্পেশাল বেণি’ নামে চলছে।

স্বাগতা জানিয়েছেন তাঁর চুলের সহজ পরিচর্যার কথা

প্রথমেই চুল সব একপাশে নিয়ে জট ছাড়িয়ে নেন স্বাগতা। তারপর চুলের মাঝখান থেকে বেণি শুরু করেন। সামনের চুলগুলো ছোট ছোট করে কাটা বলে সেগুলো ছাড়াই থাকে। ব্যস, আপনারাও ঈদের দিন এভাবে বেণি করে ফেলতে পারেন। এটা একটা ফ্রেঞ্চ বেণি। সেটা একপাশ থেকে করা। আর উল্টো করে করা। ভেতর দিক থেকে এগোনো। চাইলে আপনারাও এভাবে চুলে বেণি করে ফেলতে পারেন। তারপর সেই বেণিটাকেই পেঁচিয়ে খোঁপা করে ফেলতে পারেন। দেখে নিতে পারেন স্বাগতার ভিডিওটা।