না জেনে লিপগ্লস, পাফ, ব্লাশার, লিপস্টিক ব্যবহার করে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

সঠিকভাবে প্রসাধনীর যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি জানা উচিত।
ছবি : নকশা

অনেকেই প্রসাধনীর যত্ন নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানেন না। এ কারণে ত্বকে হতে পারে নানা ধরনের সংক্রমণ।

মেকআপ ব্যবহারে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো—একই মেকআপ যেন একাধিক মানুষ ব্যবহার না করে। একই লিপগ্লস, পাফ, ব্লাশার, লিপস্টিক, মেকআপ বক্স ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের সংক্রমণ হয়, অনেক সময়ই যা স্থায়ীভাবে নিরাময় করা কষ্টকর হয়ে যায়, বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

একজনের প্রসাধনী আরেকজনের ব্যবহার করা ঠিক নয়।
ছবি : নকশা

এ ছাড়া মেকআপের সামগ্রী কেনার পর বায়ুনিরোধক পাত্রে রাখুন। বিশেষ করে আইলাইনার, নেইলপলিশ, লিপগ্লস, মাসকারা—এ ধরনের তরল মেকআপগুলো ব্যবহারের সময় শিশিটিকে ঢেকে রাখুন, না হলে ভেতরে বাতাস ঢুকে তরল উড়ে গিয়ে প্রসাধনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে, এমনটাই বললেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তরল প্রসাধনসামগ্রী খুব বেশি রোদ বা বাতাস আসে, এমন স্থানে না রেখে ঠান্ডা জায়গায় রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

প্রায়ই দেখা যায়, আমরা লিপলাইনারের ঢাকনা খুলে ফেলে দিই। খোলা থাকার কারণে লিপলাইনার পেনসিলটির মুখে ধুলাবালু পড়ে। তাই ব্যবহারের সময় ঠোঁটে ছোট ছোট ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়। শুধু লিপলাইনারই নয়, কাজল ব্যবহারের পরও ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন।

প্রসাধনী ব্যবহারের আগে তার মেয়াদ আছে কি না, তা দেখে নিন।
ছবি : নকশা

ফেসপাউডার কেনার সময় ছোট বক্স কেনাই ভালো। বড় বক্সে দীর্ঘদিন থাকার কারণে পাউডার জমাট বেঁধে যায়। মেকআপের পাফ সপ্তাহে অন্তত এক দিন গরম পানিতে ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার, ময়েশ্চারাইজার, ফাউন্ডেশন, কনসিলার ব্যবহারের সময় বেশি করে হাতের তালুতে নিলে পুনরায় আবার তা একই টিউব বা বোতলে ঢুকিয়ে না রেখে আলাদা পাত্রে রাখুন। ব্লাশন দিয়ে মেকআপ করার পর ধুয়ে শুকিয়ে টিস্যুতে পেঁচিয়ে রাখুন। অনেক সময় মেকআপের প্রসাধনসামগ্রী মুখে লাগানোর জন্য পাফটিকে ভিজিয়ে নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ভেজা পাফটি ব্যবহারের পর তা ধুয়ে আবার শুকিয়ে টিস্যু দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। রিমুভার খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই রিমুভার ব্যবহারের সময় এর শিশিটি ঢেকে ব্যবহার করুন।এ ছাড়া মেকআপ কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ডের কি না, দেখে নিন। অনেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলেও মেকআপের সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য কখনোই ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকে চর্মরোগ, ফুসকুড়ি, এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।