ধুলা থেকে যেভাবে ত্বককে রক্ষা করবেন

ঘরে ফিরেই ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
ছবি : প্রথম আলো

হয়তো কেবল কয়েক মিনিট পথে থাকছেন, এরপর পৌঁছে যাচ্ছেন গন্তব্যে, তার ভেতরেই কিন্তু ধুলা সেঁটে যেতে পারে আপনার ত্বকে। ঘরের বাইরে তো বটেই, ঘরের ভেতরেও কিন্তু ধুলার যন্ত্রণা থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলছে না। বাতাসে ভেসে অন্দরেও পৌঁছে যায় ধুলা। এটি আসলে এ মৌসুমের চিরপরিচিত দৃশ্য।

লোমকূপে ধুলা আটকে থাকলে জীবাণুর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, দেখা দেয় ব্রণের মতো সমস্যা। ধূলিধূসর ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ধুলায় আমাদের শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই ঘরের বাইরে গেলেই পরতে হবে মাস্ক। সুস্থ থাকতে সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক কিন্তু একই সঙ্গে ত্বকের সুরক্ষার কাজেও আসবে। ঘরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, সারা দিনে চার-পাঁচবার মুখ ধোয়া আবশ্যক। সুস্থ থাকতে এমন নানা সু-অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।

মুখ পরিষ্কার রাখতে
সারা দিনে দু-তিনবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। বাকি সময় কেবল পানি দিয়ে মুখ ধুলেই চলবে। তবে এই চার-পাঁচবারের মাঝে একটি বার ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। অন্যান্য সময়ের চেয়ে রাতে ডাবল ক্লিনজিং করা বেশি ভালো। তাতে সারা দিনের ধুলাময়লা সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতিতে প্রথমে তেল আছে, এমন পরিষ্কারক দিয়ে মুখ মালিশ করতে হয়, এরপর মুখে পানি না লাগিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ফোম বেজড কিংবা জেলভিত্তিক পরিষ্কারক দিয়ে এরপর মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর বিশুদ্ধ গোলাপজলের সঙ্গে সামান্য পানি নিয়ে তুলার বল বা প্যাডের সহায়তায় মুখে মালিশ করে নিন। এতে মুখে কোনো ময়লা জমে থাকবে না, আবার তামাটে ভাবও কমে যাবে। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে না চাইলে মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই কোনো টোনার ব্যবহার করুন। ঘরের বাইরে গেলে মুখ ধোয়ার আগে এবং অন্য যেকোনো সময় ভেজা টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নেওয়া ভালো।

প্রসাধনী প্রয়োগে

বাইরে বের হওয়ার সময় যদি আপনি কেবল ক্রিমজাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করেন, তাহলে কিন্তু ত্বকে ধুলা বেশি আটকাবে। তাই পাউডার–জাতীয় প্রসাধন বেছে নিন এই সময়ের জন্য। ফেসপাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডারের মতো প্রসাধন যোগ করে নিন অন্যান্য মেকআপ সামগ্রীর পাশাপাশি। রোদের থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য যেসব প্রসাধন ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা। সানস্ক্রিন পাউডার বেছে নিন, কিংবা এমন কোনো তরল সানস্ক্রিন সামগ্রী বেছে নিন, যা ত্বকে প্রয়োগের পরপরই ত্বকে মিশে যায়। মূল ব্যাপার হলো, বাইরে যাওয়ার সময় যাতে আপনার ত্বক চিটচিটে হয়ে না থাকে।