চুলের সিঁথি বদলাবেন যেভাবে
সিঁথি হতে পারে মাঝে কিংবা এক পাশে, হতে পারে সোজা কিংবা আঁকাবাঁকা। তবে যেমন সিঁথিই আপনার পছন্দ হোক না কেন, দীর্ঘদিন একইভাবে রেখে দেবেন না। মাঝেমধ্যে সিঁথির ধরন বদলান। নইলে এক জায়গায় সিঁথি ‘স্থায়ী’ হয়ে যাবে। চওড়া হয়ে ওঠা সেই সিঁথি আপনার নিজের কাছেও আর ভালো লাগবে না। তা ছাড়া একই চুলে কেবল সিঁথির ধরন খানিকটা বদলে দিলেই অন্য রকম দেখায় চেহারা।
একই জায়গায় সিঁথি করতে থাকলে চিরুনির ডগার রোজকার চাপে সেই জায়গা থেকে চুল পড়ে বেশি। সিঁথি চওড়া হয়ে যাওয়ার এটাই কারণ। আর একইভাবে সিঁথি করতে করতে চুলও বাড়তে থাকে একটা নির্দিষ্ট ধারায়। সে কারণে সেখানটাতেই স্থায়ী হয়ে যায় সিঁথি। এভাবেই ব্যাখ্যা করছিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
সিঁথিবদল ও অন্যান্য
কিছুদিন পরপরই বদলে দিতে হবে সিঁথির জায়গা এবং ধরন। মাঝেমধ্যে উল্টো করেও (ব্যাকব্রাশ) চুল আঁচড়াতে পারেন। ব্যাকব্রাশ করার আগে তেল দিয়ে নেওয়া ভালো। সব সময় চুল ছেড়ে রাখবেন না। পনিটেইল বা নানা রকম ‘বান’ করে চুল আটকে রাখতে পারেন। পাঞ্চ ক্লিপ, খোঁপার কাঠি বা কাঁটাও কাজে লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কাঠবাদাম, চিনাবাদাম ও জলপাই তেল ভিটামিন ই–এর ভালো উৎস। শাক, দুগ্ধজাত খাবার এবং মাংসেও রয়েছে ভিটামিন ই। মাথার ত্বকে নিয়মিত উষ্ণ তেল মালিশ করুন। চুল পড়ার প্রবণতা কমবে। ফলে সিঁথি চওড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
সিঁথি যদি ‘স্থায়ী’ হয়েই যায়
যদি সিঁথি প্রায় ‘স্থায়ী’ হয়ে যায়, তাহলে উষ্ণ তেল মালিশ করে ব্যাকব্রাশ করে পনিটেইল বা বান করে বেঁধে তো রাখবেনই; ভিন্ন জায়গায় সিঁথিও করবেন। পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করতে হবে। প্রাকৃতিক প্যাক লাগাতে হবে সপ্তাহে এক দিন। এমনই একটি প্যাক তৈরি করার জন্য নিন সমপরিমাণ মেথিবাটা ও মেহেদিপাতাবাটা। সঙ্গে প্রয়োজনমতো ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ছাড়াও কাজে লাগাতে পারেন জবা ফুলের পাপড়ি, রেণু আর চায়ের লিকার। আপনার চুলের জন্য ১ কাপ লিকারের প্রয়োজন হলে সঙ্গে নিন জবার ৫টি পাপড়ি আর রেণু। একসঙ্গে সব উপকরণ বেটে নিন। এই প্যাক চুলে কালোর আভিজাত্যও আনে। প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি (পিআরপি) চুল পড়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। চওড়া সিঁথির সমস্যা সমাধানে পিআরপি থেরাপি নিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।