গরম পানিতে গোসল করার আগে জেনে নিন

শীতে বেশি গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক হয়ে খসখসে পড়ে
ছবি : কবির হোসেন

শীত উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুই দিন ধরেই আকাশ মেঘলা ছিল। আজ তো ঢাকাসহ নানা স্থানে বৃষ্টি। এ আবহাওয়ায় গোসল নিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপদে। দিনের পর দিন গোসল না করে থাকা লোকের সংখ্যা বাড়ে শীতে। অনেকে শীতের দিনে গরম পানি মিশিয়ে গোসল করতে ভালোবাসেন। কেউ কেউ আবার সরাসরি ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন। শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে কী কোনো সমস্যা হয়, এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক আফজালুল করিম বলছেন, ‘শীতের দিনে গরম পানিতে গোসলে সমস্যা নেই।

তবে তা যেন খুব গরম না হয়, পানিটা হতে হবে কুসুম গরম। বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের চামড়ার ওপর প্রভাব পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে। তাই গোসলের পর ব্যবহার করতে হবে লোশন।’
গরম পানিতে গোসলের সময় ময়েশ্চারাইজার সোপ ব্যবহার করলে ত্বক স্বাভাবিক থাকে। আবার নিয়মিত গরম পানি মাথায় দিলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। তাই গোসলের সময় ময়েশ্চারাইজার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। চুল থাকবে ঝরঝরে।
ঢাকার ইগলস জিমের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ শিমুল হাসান বলেন, শীতের দিনে দুপুরে গোসল করতে পারলে অনেকের কাছেই শীতের প্রকোপ কিছুটা কম অনুভূত হয়। এখন যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো। কেননা বেশি ঠান্ডা পানিতে পেশি (মাসল) সংকুচিত হয়ে যায়। শরীরচর্চার পর গরম পানিতে গোসল করে নিলে পেশি ঠিক থাকবে। অনেক পারলার বা জিমে স্টিম বাথ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সময়ে স্টিম বাথ বেশ আরামদায়ক। শীতে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। বাতাসের ধুলাবালু শরীরে লেগে থাকলেও ত্বকের ক্ষতি হয়। স্টিম বাথ নিলে ত্বক থাকবে মোলায়েম, কোমল।

শীতের দিনে গরম পানিতে গোসলের আরও কিছু পরামর্শ দিলেন শিমুল হাসান:

  • শরীরচর্চার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানিতে গোসল করবেন।

  • গরম পানিতে গোসলে আরাম পেয়ে বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।

  • স্নানঘরে গিজারের সুবিধা থাকলে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে গোসল সেরে নিন।