২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার ৭ কার্যকর উপায়
সারা বিশ্বে মানুষ যে ত্বকের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে, সেটি সম্ভবত ব্রণ। খেয়াল করে দেখবেন, যেদিন আপনার মুখটা একটু সুন্দর রাখা জরুরি, ঠিক সেদিনই কোত্থেকে যেন ব্রণের আবির্ভাব ঘটে গেছে। ঠিকমতো টাটকা কম তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ঘুমানো, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, রোদে না যাওয়া, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন, প্রসাধনী ও মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা, ব্রণ হলে না খোঁটানো—এসব ঠিক থাকলে ব্রণের ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ কমে আসবে। চলুন, চট করে জেনে নেওয়া যাক, ব্রণ হলে কীভাবে তা রাতারাতি দূর করবেন।
১. বরফের কিউব
‘রাগী’, ‘জেদি’ আর যন্ত্রণাদায়ক ব্রণকে শান্ত করতে এক খণ্ড বরফের কিউবই যথেষ্ট। দিনে চার–পাঁচবার বিরতি নিয়ে ব্রণের ওপর বরফের কিউব ঘষতে থাকুন। ২৪ ঘণ্টায় ব্রণ অনেকটাই কমে যাবে বা ছোট হয়ে আসবে।
২. অ্যাসপিরিন-পেস্ট
ব্যথা, জ্বর বা প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর অ্যাসপিরিন। তাই অনেকেরই ওষুধের বাক্সের কোনায় খুঁজে পাওয়া যাবে এটি। এতে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। দুটি অ্যাসপিরিন গুঁড়া করে এক বা দুই ফোঁটা পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। ব্রণের ওপরের তেল বা মরা চামড়া উঠে আসবে। সঙ্গে সারিয়েও তুলবে বেশ খানিকটা।
৩. স্পট ক্রিম
স্পট ক্রিম বা দাগ দূর করার বিভিন্ন ক্রিমে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজলপারঅক্সাইড। ফলে এটিও মরা চামড়া দূর করবে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলবে আর অতিরিক্ত তেলও শুষে নেবে।
৪. মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ
উভয়েরই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য নামডাক আছে। এই দুইয়ের মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগান। বিরতি নিয়ে কয়েকবার লাগানোর পর নিজেই দেখুন পার্থক্য।
৫. টি ট্রি অয়েল
সুপারশপে ঢুঁ মারলেই মিলে যাবে। টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসমৃদ্ধ। দিনে কয়েকবার লাগালে ব্রণ কমে আসবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে এই নিয়ম আপনার জন্য নয়!
৬. মাইল্ড ক্লিনজার
মাইল্ড বা কোমল ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করুন। আপনার স্ক্র্যাবার যেন ত্বকের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। এটিই আপনার ত্বকের ময়লা, মরা কোষ দূর করে, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ব্রণ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
৭. হাইড্রোকলয়েডস
ছোট একটা হাইড্রোকলয়েড ড্রেসিং ব্যবহার করে আপনি ব্রণের ভেতরের তরল বের করে আনতে পারেন। এর ফলে ত্বকে ব্রণের দাগ পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে। ব্রণ দুই হাতের আঙুল দিয়ে টিপ দিয়ে ভেতরের ‘পদার্থ’ বের করে আপনি যতই ‘সুখী’ হোন না কেন, নিজেকে সংবরণ করুন! এর ফলে একে তো আপনি ক্ষত বাড়াচ্ছেন, অন্যদিকে দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। সঙ্গে ব্রণের জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠার চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সূত্র: হেলথলাইন