কন্ডিশনারেও ধোয়া যাবে চুল

যাঁদের চুল শুষ্ক তাঁরা চুল ধোয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন কো-ওয়াশিং পদ্ধতি। মডেল : অন্তরা
ছবি : কবির হোসেন

শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগানোর প্রয়োজনীয়তা তো সবারই জানা। তবে শ্যাম্পু ছাড়াও কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নের আলাদা এক পদ্ধতিই হলো কন্ডিশনার ওয়াশিং বা কো-ওয়াশিং, যে পদ্ধতিতে চুল ধোয়ার জন্যই শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পুতে থাকা সালফেটের কারণে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষত যাঁদের চুল খুব কোঁকড়া বা খুব বেশি ঢেউ খেলানো, যাঁদের চুল শুষ্ক ধাঁচের কিংবা যাঁদের রয়েছে মিশ্র গড়নের চুল, তাঁরা চুল ধোয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন কো-ওয়াশিং পদ্ধতি। এতে চুল থাকবে কোমল। এমনটাই জানালেন সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।

কন্ডিশনার লাগাতে যতটা সময় লেগেছে, তার দ্বিগুণ সময় ধরে চুল ধুতে হবে। মডেল : অন্তরা
ছবি : কবির হোসেন

কেমন সে পদ্ধতি

কো-ওয়াশিং পদ্ধতিতে চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার প্রয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কন্ডিশনার লাগিয়ে অপেক্ষা করার মতো কোনো সময়ক্ষেপণের ব্যাপার নেই। বরং শ্যাম্পুর ফেনা তুলে যেমন চুল ধুয়ে ফেলা হয় ঝটপট, তেমনই কন্ডিশনার লাগানোর পরপরই চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চুল যাতে খুব ভালোভাবে ধোয়া হয়। পুরো মাথায় কন্ডিশনার লাগাতে যতটা সময় লেগেছে, তার দ্বিগুণ সময় ধরে চুল ধুতে হবে। চুল ধোয়ার পর আবার কন্ডিশনার প্রয়োগ করুন, এবার কন্ডিশনার ব্যবহারের নিয়মেই। অর্থাৎ এবার মাথার ত্বক ও চুলের গোড়া বাদ দিয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

কো-ওয়াশিং করে চুল ধোওয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে নিন। মডেল : অন্তরা
ছবি : কবির হোসেন

যেমন কন্ডিশনার চাই

চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নেওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি কন্ডিশনারে যেসব উপাদান খুঁজতে পারেন—

• নানা ধরনের তেল, শিয়া বাটার কিংবা হুইট জার্মের মতো উপাদান চুলকে মসৃণ ও নরম রাখে, কুঁচকানো ভাব কমাতে সাহায্য করে।

• প্রোটিন, সয়া প্রোটিন আর হুইট জার্ম–সমৃদ্ধ কন্ডিশনার চুলকে রাখবে সুরক্ষিত।

• মধু, অ্যালোভেরা ও গ্লিসারিন–সমৃদ্ধ উপাদান বেছে নিলে চুল থাকবে আর্দ্র ও চকচকে।

আরও যা

• শ্যাম্পু একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। এতে চুলে ময়লা জমতে পারে।

• যত দিন অন্তর শ্যাম্পু করেন, ঠিক তত দিন অন্তরই কো-ওয়াশিং করুন। তবে ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।

• কিছুদিন কো-ওয়াশিং আবার কিছুদিন সাধারণ নিয়মে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।