চুল বাঁধতে হলে

ছবি: পেকজেলসডটকম

চুল বাঁধা যেকোনো নারীর কাছেই অত্যন্ত সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। কারণে–অকারণে নানাভাবেই চুল বাঁধেন অনেকে। কিন্তু এই চুল বাঁধার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। যেমন চুলের ঘনত্ব, দৈর্ঘ্য এবং চুলের ধরন। মূলত এই তিনটি বিষয় প্রাধান্য দিতে হবে চুল বাঁধার আগে। যাঁদের চুল বেশ ঘন এবং লম্বা, সাধারণভাবেই তাঁদের চুল ভারী হয়। সুতরাং, তাঁরা যখন চুল বাঁধেন, তখন চুলে অনেক বেশি টান পড়বে। এতে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মাথাব্যথাসহ আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরপর বুঝতে হবে নিজের চুলের ধরন বা টেকশ্চার। চুল যদি স্ট্রেট অথবা সাধারণ ধরনের হয়, তবে যেকোনোভাবেই বাঁধা যায় বা স্টাইলিং করা যায়। আর যদি কোঁকড়ানো বা ছোট চুল হয়, তাহলে চুল বাঁধা বা স্টাইলিং অতটা সহজ নয়।

অনেকে গায়ের জোরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আটকে রাখতে চান। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বেশি দিন এভাবে চুল বাঁধলে কপালের আয়তন বেড়ে যেতে পারে। আর দীর্ঘ সময় চুল বেঁধে রাখলে মাথার তালুতে ঘাম হবেই। আর ঘামের ফলে ময়লা জমবে এবং চুলের ক্ষতি হবে। সুতরাং বলাই যায়, বাঁধার আগে মাথার তালু এবং চুলের প্রস্তুতি জরুরি।

ছবি: পেকজেলসডটকম

সাধারণভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, অনেকেই একটি ভুল হরহামেশাই করেন। তা হচ্ছে পরিষ্কার চুল খুলে রাখেন এবং নোংরা, তেলতেলে চুল বেঁধে রাখেন। কিন্তু বিষয়টি উল্টো হওয়া উচিত। পরিষ্কার চুল খুলে রাখলে তাতে ধুলাময়লা এবং ঘাম জমে দ্রুত ময়লা হয়ে যাবে।

আবার ময়লা বা তেল–চিটচিটে চুল বেঁধে রাখার অর্থ, মাথার তালুর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা। যেমন চুলে ঘাম জমলে অতিরিক্ত ময়লা আটকাবে। পাশাপাশি চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। এ কারণে সঠিক নিয়মে চুল বাঁধা প্রয়োজন এবং চুল বাঁধার আগে অবশ্যই চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। অর্থাৎ, ভালোভাবে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের পরই চুল বাঁধা বা স্টাইল করা উচিত।

ছবি: পেকজেলসডটকম

অনেকে ভাবেন, অল্প সময়ের জন্য চুল বাঁধলে কী আর এমন ক্ষতি হয়। এই ধারণাও ভুল। মনে রাখতে হবে, যতটা সময় চুল বেঁধে রাখা হবে, ততটা সময় চুলের ডগায় পুষ্টি পৌঁছায় না। চুল বাঁধার আগে অবশ্যই ভালোভাবে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। জট পড়া চুল বাঁধলে অনেক চুল নষ্ট হতে পারে এবং চুল পড়ার প্রবণতাও বাড়ে।

চুল বাঁধার সময় লক্ষণীয়

হেয়ার স্টাইল নির্বাচনে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন চুল খুব টেনে বা উল্টে বাঁধতে হয়, এমন স্টাইল না বাছাই ভালো। একটু হালকা বাঁধনের হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করতে হবে।

চুল লম্বা এবং খুব ঘন হলে পনিটেল–জাতীয় হেয়ার স্টাইল করতে পারেন। তবে অনেক বেশি টেনে বাঁধা যাবে না। ববিপিন কম ব্যবহার করা উচিত।

ছবি: পেকজেলসডটকম

ছোট বা মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলের জন্য বা পাতলা চুলের জন্য খোঁপা, মেসিবান, পনিটেল, ফ্রেঞ্চব্রেড সবই চলতে পারে। শুধু খেয়াল রাখবেন, ব্যাকব্রাশ যেন বেশি করতে না হয়। চুল নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখার জন্য অল্প স্প্রে বা মুজ ব্যবহার করতে পারেন।

যাঁদের স্লিক পনিটেল পছন্দ। তাঁরাও চুল পেছনে বাঁধার সময় আলগা করে বাঁধুন। মাথার সামনের বেবিহেয়ার ঢাকতে সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে।

কিছু কিছু হেয়ার স্টাইল রয়েছে, যার জন্য চুল বেশ শক্ত করে বাঁধার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় অল্প নারকেল তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে এই ধরনের হেয়ার স্টাইল ঘন ঘন না করাই ভালো।