চুলে তেল লাগানোর পর

.
.

চুলের যত্নে তেলের গুণাগুণের কথা কে না জানে? তবে ঝামেলাটা বাধে তখনই, যখন দেখা যায়, পরিষ্কারের সময় অনেকক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করার পরও চুলের তেলতেলে ভাবটা যায় না। এ অবস্থায় শ্যাম্পু তো করবেনই, তার পাশাপাশি চুল পরিষ্কার করতে আরও কিছু উপাদান যুক্ত করার কথা বললেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপ বিশেষজ্ঞ শারমীন কচি।

তৈলাক্ত চুলের জন্য
চুল যাঁদের তৈলাক্ত, তাঁরা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোহান। এ জন্য তৈলাক্ত চুল পরিষ্কার করতে হালকা এবং ঘনত্ব কম—এমন স্বচ্ছ শ্যাম্পু বেছে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন বেকিং পাউডার। এবার পুরো মিশ্রণ চুলের গোড়া থেকে ম্যাসাজ করতে করতে নিচ পর্যন্ত নামুন। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। এরপরও যদি চুলের তেল না ওঠে, তখন আধা কাপ লেবুর রসের সঙ্গে সিকি কাপ শসার রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার বড় চিরুনি দিয়ে চুলগুলো ভালো করে আঁচড়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

শুষ্ক চুলের জন্য
শুষ্ক চুলে তেল ওঠানোর জন্য ‘ওমেগা ৩’ ও কন্ডিশনার বেজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুলে শ্যাম্পু লাগানোর সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। চুল ঝলমলে করে তুলতে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু লাগান। খেয়াল রাখবেন, শুষ্ক চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে যেন ভুল না হয়। এ জন্য আমলা (শুকনো আমলকী) সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেই পানিতেই আমলাগুলো সেদ্ধ করে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর আমলা-পানি ঠান্ডা করে চুলে ঢালুন।

কোঁকড়া চুলের জন্য
কোঁকড়া চুলে তেল দেওয়া খুব জরুরি। এ জন্য এ ধরনের চুলে তেল দেওয়ার সময় আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন।

আরও কিছু কথা
চুল থেকে তেল তুলবেন কীভাবে, তা তো জানা হলো। তবে নারকেল তেল ছাড়া অন্য কোনো তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। কারণ, নারকেল তেল ছাড়া অন্য তেলের ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে। যে কারণে শ্যাম্পু করার পরও চুল থেকে তেল উঠতে চায় না। এদিকে লেবুর রস তেলের ঘনত্ব দূর করতে সাহায্য করে।