নিমন্ত্রণে পরিপাটি চুলের সাজ

সামনে আসছে পূজা। এ সময় চলবে অনিয়ন্ত্রিত নিমন্ত্রণ। এক জায়গা থেকে এসেই দৌড়াতে হবে আরেক জায়গায়। তার ওপর আছে হেমন্ত আর শীতের একটা মিশ্র আবহাওয়া। থাকবে প্রচুর ধুলাবালি। সবকিছু মিলিয়ে চুলের সাজে বাধবে বিপত্তি। চুলের সাজ এমন একটা বিষয়, যা–ই করুন না কেন, আপনার মন ভরবে না। চুলের অনেক ধরন আছে। সে জন্য আছে অনেক ধরনের সাজ। আছে নিজস্ব পছন্দ ও অপছন্দ। কাজেই কোনটা ছেড়ে কোনটা করবেন, সেটা বেছে নেওয়াই একটা ঝামেলার বিষয়। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন জানান, খোলা চুলই মেয়েদের বেশি পছন্দ বলে মনে হয়। আর যেহেতু শীত প্রায় চলে এল, তাই এখন কোঁকড়ানো স্টাইল দেখা যাবে।

চুলের সাজের ক্ল্যাসিক ব্যাপারটা এখন আর খুব একটা নেই। এসেছে বাহারি আধুনিক সাজ। সেসব করতে হয় নানান কায়দায়, বিভিন্নভাবে। দীঘল কালো চুলের আটপৌরে সাজ বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন। আসছে বৈচিত্র্য। আছে চিরায়ত বেণি, আছে ইচ্ছে করে এলোমেলো করে দেওয়ার নিজস্ব পছন্দ।

তবে মূল কথা হলো, নিজের চেহারা, পোশাক, নিমন্ত্রণে কোথায় যাচ্ছেন সবকিছু মিলিয়ে নিজের চুলের সাজ ঠিক করুন নিজেই। এখানে চুলের ধরন অনুসারে কয়েকটি সাজের কথা বলা হলো।

ছোটও নয়, আবার একেবারে বড়ও নয়—এমন চুল অর্থাৎ মাঝারি চুলে ইচ্ছেমতো স্টাইল করা যায়। নিমন্ত্রণের চাপে বেশির ভাগ সময়ই পারলারে গিয়ে চুলের সাজ দেওয়া সম্ভব না–ও হতে পারে। তাই আফরোজা পারভিন বলেন, চাইলে আগের দিন রাতে চুল পেঁচিয়ে রাখা যেতে পারে। পরদিন সকালে চুল খুলে দেখবেন খুব সুন্দর একটা কোঁকড়া ভাব আসবে।

ছোট চুলে বৈচিত্র্যময় সাজ দেওয়ার তেমন কিছু নেই, এই ধারণা এখন আর চলে না। ছোট চুলের স্টাইলেও এখন এসেছে বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ ব্যান্ড দিয়েও সাজে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। কার্ল করলেও ভালো দেখাবে।

চুল খোলা রাখলে একদম সোজাসাপটা ছেড়ে না রেখে ব্লো ড্রাই করে নিন। কিংবা রোলার স্টাইলার দিয়ে হালকা কুঁকড়ে নিন। পুরো চুল স্পাইরালও করতে পারেন। ওপরের দিকে সোজা রেখে নিচের দিকে কোঁকড়া করে রাখতে পারেন।

লম্বা চুল এমনিতেই ভালো লাগে। এর সাজেও আছে বৈচিত্র্য। লম্বা চুলের সাধারণ সাজ বেণি। এই বেণি নিয়ে যে কত কথা, কত কবিতা আর কত গান লেখা হয়েছে, তার লেখাজোখা নেই। এসব থেকে বোঝা যায় বেণির শোভা দেখতে দারুণ লাগে। একসময় সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ির সঙ্গেই করা হতো বেণি। ইদানীং স্কার্ট, টপ বা ড্রেসের সঙ্গেও দিব্যি বেণি করছেন অনেকে। তবে সাদামাটা বেণির দিন ফুরিয়েছে বলা যায়। এখন নানান স্টাইলে বেণি করা যায়। যেমন—ফ্রেঞ্চ বেণি, মারমেইড বেণি ইত্যাদি। মাথার মাঝখান থেকে কিছু চুল নিয়ে টুইস্ট করে বেণি বা পনিটেইল করে নিতে পারেন। চাইলে খোঁপাও করতে পারেন।

• উৎসবের আগে পারলারে গিয়ে চুলের ধরন বুঝে হেয়ার ট্রিটমেন্ট দিয়ে নিন। কিংবা বাড়িতেই করে নিন চুলের যত্ন।

• তাৎক্ষণিকভাবে চুল মসৃণ দেখাতে আধা মগ পানিতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

• চুলে স্টাইল করার আগে হেয়ার ক্রিম লাগিয়ে নিন।

• বিভিন্ন স্টাইল করতে গিয়ে চুলে অনেক ধকল পড়বে। তাই উৎসব শেষে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন।