পায়ের যত্নে অবহেলা নয়

অনেক সৌন্দর্যসচেতন মানুষই পায়ের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। আবার অনেকে পা বলতে শুধু পায়ের পাতাকে বোঝেন। তাই বাকি অংশের যত্নের বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন বা অনেকেই ভুলবশত এড়িয়ে যান। আর গরমের সময় পায়ের অনেকটাই দিনের বেশির ভাগ সময় উন্মুক্ত থাকে। তাই যত্ন নিতে হবে পুরো অংশের। সঙ্গে বিশেষ নজর দিতে হবে পায়ের পাতার প্রতি।

* গরমের সময় ওয়াক্সিং থেকে বিরত থাকা উচিত। এ সময় শেভিং ভালো সমাধান। কারণ, ওয়াক্সিংয়ের ফলে ত্বক অনেক সময় রুক্ষ হয়ে যায়। র‌্যাশও হতে পারে। হেয়ার রিমুভিং ক্রিমকে অনেকে ঝামেলাহীন সহজ সমাধান মনে করে। এরও রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যেমন ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যাওয়া। তাই গরমে শেভিংই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

* গোসলের সময় পা পানি দিয়ে ভিজিয়ে প্রথমে ভালোভাবে স্ক্রাব করে নেওয়া উচিত। চাইলে এ স্ক্রাবার ঘরেই তৈরি করা যায়। চালের গুঁড়া, ওটমিল, বেসন, কফি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা যায় স্ক্রাব। ভালোভাবে স্ক্রাব করলে শেভিংও ভালো হবে।

* স্ক্রাবিং করার পর শেভিং করলে ত্বকে র‌্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে। বডি হেয়ার শেভ করতে অনেকে শেভিং ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে শেভিং ক্রিমে ত্বক শুষ্ক ও ইরিটেটেড হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শাওয়ার জেল বা বডি ওয়াশ ভালো সমাধান হতে পারে।

* শেভ করার পর পায়ের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, পায়ের ত্বক এ সময় অতিরিক্ত সেনসেটিভ থাকে। গোসলের পর নরম টাওয়েল দিয়ে পানি মুছে প্রথমে সুদিং লোশন ব্যবহার করা যায়, যা ত্বক ঠান্ডা করবে। এরপর নারিশিং বডি লোশন লাগাতে হবে। চাইলে দুই ঘণ্টা পর আবার বডি লোশন লাগাতে পারেন।

* ত্বক বেশি শুষ্ক হলে দ্বিতীয়বার লোশন না লাগিয়ে বডি অয়েল বা অলিভ অয়েল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে ত্বক দীর্ঘক্ষণ ময়শ্চারাইজড থাকবে, উজ্জ্বলতাও বাড়বে।

* পায়ের ত্বকে কালচে দাগ দেখা দিলে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করাই ভালো। এ জন্য ১ চা-চামচ ময়দা ও ১ চা-চামচ বেসনের সঙ্গে টক দই ও টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো পা বা কালচে হয়ে যাওয়া জায়গায় আধঘণ্টা লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে সরাসরি না ধুয়ে ভেজা হাত দিয়ে ঘষে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুদিন এ প্যাক ব্যবহারে এক মাসের মধ্যে ত্বকের কালচে দাগ অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।

ছবি: আনস্প্ল্যাশ ও পেকজেলসডটকম