মিশ্র ত্বকের যত্ন

প্রতীকী ছবিছবি: প্রথম আলো

গ্রীষ্মের দিনগুলো অদ্ভুত। হুটহাট বৃষ্টি, আবার কখনো রোদ। এমন আবহাওয়ায় ত্বকের যত্ন কেমন হবে, তা নিয়ে অনেকেই থাকেন দ্বিধায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক মিশ্র। মুখের ত্বকের কিছু অংশ শুষ্ক এবং কিছু অংশ তৈলাক্ত, এ ধরনের ত্বকই মিশ্র ত্বক। মিশ্র ত্বকের পরিচর্যা কিছুটা জটিল। কারণ, মিশ্র ত্বকের গাল, চোয়াল আর চুলের চারপাশ সাধারণত শুষ্ক থাকে। আর বাকি অংশ যেমন কপাল, নাক ও চিবুকের অংশ তৈলাক্ত দেখায়। ত্বক এমন হওয়ার বেশ কিছু কারণও রয়েছে।

প্রতীকী ছবি
ছবি: পেকজেলসডটকম

এর মধ্যে আবহাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। আবার হরমোনের কারণেও ত্বকে মিশ্রতা দেখা দেয়। আবার সময় এবং ত্বকের ধরন বুঝে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করলেও ত্বকে তৈরি হতে পারে মিশ্রতা। ত্বক এবং আবহাওয়ার  জন্য উপযোগী নয়, এমন কেমিক্যালে তৈরি পণ্যের ব্যবহার। তৈলাক্ততা কিংবা শুষ্কতায় হেরফের ঘটাতে পারে। ফলে মিশ্র ভাব সৃষ্টি হয় ত্বকে।

এ ধরনের ত্বকের চর্চায় রয়েছে কয়েকটি ধাপ। যা রুটিন মেনে সারাতে হয়।

* মিশ্র ত্বকের জন্য ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং আবশ্যক। ক্লিনজার হিসেবে লোশন কিংবা জেল বেসড ক্লিনজার বেছে নেওয়াই ভালো। ত্বক শুষ্ক বা চিটচিটে হবে না। ত্বকের কোমলতাও বজায় থাকবে। দূর করবে ত্বকের দূষণ, ময়লা আর মেকআপের বিরূপ প্রভাব।

* ত্বকের কোনো অংশ যদি বেশি শুষ্ক হয়ে যায়, তবে সেই অংশের জন্য খুবই হালকা ও কোমল ক্লিনজিং ব্রাশও ব্যবহার করা যেতে পারে।

* মিশ্র ত্বকের ক্লিনজার বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন মুখের টি-জোনকে ম্যাটিফাই বা তেল শুষে নিতে সাহায্য করে এবং মুখের শুষ্ক অংশকে যেন আরও শুষ্ক না করে।

* বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, হাইড্রেটিং সিরামাইডযুক্ত স্কিন ব্যালান্সিং টোনার মিশ্র ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।

* ব্যবহার করতে হবে অয়েল ফ্রি লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার।

* দিনের বেলা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন সুরক্ষিত করে মিশ্র ত্বককে। তবে কেনার সময় এবং ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবে, এর এসপিএফ যেন কমপক্ষে ৩০-এর ওপর হয়।

* মিশ্র ত্বকের দিনের রূপরুটিন এবং রাতের রূপরুটিন প্রায় একই। শুধু দিনে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন এবং রাতে সানস্ক্রিনের পরিবর্তে আলফা কিংবা বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডযুক্ত সেরামের ব্যবহার করতে হবে। তবেই ত্বক থাকবে স্বাভাবিক।

* স্যালিসাইলিন, হায়ালুরনিক কিংবা রেনিটল সমৃদ্ধ সেরামও মিশ্র ত্বকের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে। এগুলো ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং শুষ্কতা সারাবে।

* সম্ভব হলে মিশ্র ত্বকের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুবার এক্সফোলিয়েশন করিয়ে নিতে হবে।

* যেকোনো ধরনের ত্বক সুন্দর রাখতে মৃতকোষ সরানো জরুরি। এ জন্য সুগার বেসড মাইক্রোবিডেড স্ক্রাব বেছে নেওয়া যেতে পারে। আবার ত্বকেকে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে চাইলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ইনফিউজড স্ক্রাবও বেছে নেওয়া যেতে পারে।

* পর্যাপ্ত সময় থাকলে নিয়মিত ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ময়লা দূর হয়।

* সম্ভব হলে মাসে অন্তত একবার ত্বক পরীক্ষা করিয়ে উপযোগী একটি ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট বেছে নেওয়া উচিত।