মেগান মার্কেলের রূপ–রুটিন

হলিউডের প্রিয়মুখ মেগান মার্কেল। আবার ইংল্যান্ডের রাজবধূ হিসেবেও তিনি কম পরিচিত নন। যুবরাজ হ্যারির স্ত্রী তিনি। তবে উভয়েই রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে নিজেদের মতো করে সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাচ্ছেন।

হলিউডের প্রিয়মুখ মেগান মার্কেল
ছবি: উইকিপিডিয়া

মেগান মার্কেল মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তিনি ২০১১ সাল থেকে মার্কিন অপরাধমূলক ধারাবাহিক নাটক ‘স্যুটস্’-এ ‘র‍্যাচল জেইন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তা ছাড়া কল্পবিজ্ঞান এবং গোয়েন্দা কাহিনিসমৃদ্ধ মার্কিন ধারাবাহিক ‘ফ্রিংগি’-এর বিশেষ গোয়েন্দা ‘অ্যামি জেসাপ’-এর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান।

নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁকে ছোট পর্দায়ও কাজ করতে দেখা যায়। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রতিভাবান এই শিল্পী সবার মন জয় করে নিয়েছেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। এর জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন।

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করে থাকেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি গরম পানি পান করে থাকেন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জুস জোল্ট পান করে থাকেন। এটি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম এবং সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। এ সময় তিনি আপেল, পালংশাক, লেবু ও আদামিশ্রিত একটি শরবত পান করে থাকেন।

ডায়েট প্ল্যান নিয়মিত মেনে চলেন
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

সৌন্দর্য-সচেতন এ শিল্পী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে তা নিয়মিত মেনে চলেন। তিনি যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। তিনি সালাদ ও সুশি খেতে বেশ পছন্দ করেন। সাধারণত তাঁর সকালের নাশতায় থাকে ডিম ও ম্যাকারনি চিজ। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল। দুপুরের খাবারে তিনি সাধারণত গ্রিল্ড লাইম চিকেন উইথ স্প্যানিশ সালাদ খান।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তাঁর চাই গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন–জাতীয় খাবার। তিনি খানও প্রচুর পরিমাণে। বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তা ছাড়া তিনি শস্যজাতীয় খাবার ও পনির খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে খুব হালকা স্ন্যাকই তাঁর পছন্দ। এ সময় তিনি গাজর, আপেল আর পনীর খান। তবে ভ্যানিলা ফ্রেইপি, পুডিং ও পেস্ট্রি আছে ভীষণ পছন্দের তালিকায়। রাতের খাবারে তিনি লেমন থাইম হ্যালিবাট উইথ গ্রিন বিনস এবং লেমন রোজমেরি চিকেন খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

সবজি ও ফলের রস নিয়মিত পান করেন
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

এ ছাড়া অন্যান্য মিক্সড আইটেমও খান। কখনো কখনো থাকে স্যুপও। তিনি হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর যেহেতু অল্প মসলায় তৈরি খাবারে স্বাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে পারে না, তাই সেভাবেই তিনি চার্ট মেনে চলেন। তিনি নিয়মিত দুধ পান করেন, যা তাঁকে সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তিনি কফি কিংবা চা পান করতে অভ্যস্ত নন। বরং সবজি ও ফলের রস নিয়মিত পান করে থাকেন।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো প্রকার ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়। তাই তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। তিনি সাধারণত রাত আটটার মধ্যে তাঁর রাতের খাবার খেয়ে নেন। এরপর কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করেন
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করে থাকেন। নিয়মিত ব্যায়াম কিংবা সাঁতারের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউটও করেন না।