এখনো সেই পুড়ে যাওয়া কামিজের কথা মনে পড়ে: মেহজাবীন

ছোটবেলার ঈদ মানেই নতুন পোশাক। আর এই পোশাক ঘিরে একেকজনের একেক রকম আবেগ। তারকারাও এর বাইরে না। মেহজাবীনের ঈদপোশাকের স্মৃতি জানার চেষ্টা করেছেন মনজুরুল আলম

ছোটবেলায় মেহজাবীনের ঈদ কেটেছে ওমানে
ছবি : কবির হোসেন

মেহজাবীনের বয়স তখন ছয় কি সাত বছর। সবে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছেন। মা–বাবার সঙ্গে ওমানে থাকেন। এই বয়সে ঈদের পোশাক নিয়ে মেহজাবীনেরও ছিল আলাদা আগ্রহ। বয়সে ছোট হওয়ায় সালোয়ার–কামিজ পরার সুযোগ তখনো হয়নি। কিন্তু মায়ের মতো ছোট্ট মেহজাবীনেরও চাই সালোয়ার–কামিজ। অগত্যা মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁকেও বানিয়ে দেওয়া হলো সুন্দর সালোয়ার–কামিজ। বিদেশের মাটিতে সেই ঈদের পোশাক নিয়ে সে কী উত্তেজনা! শুধু অপেক্ষা, কবে আসবে ঈদ, কবে পরবেন এই পোশাক।

শেষমেশ ঈদ এল। সকালে উঠেই গায়ে উঠল সেই সালোয়ার–কামিজ। চলতে থাকে এদিক–সেদিক ঘোরাঘুরি। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সেই এক পোশাক। দুপুরে ঘুমানোর পালা। কিন্তু কিছুতেই সেই সালোয়ার–কামিজ খুলবেন না। অগত্যা সেই পোশাক পরেই ঘুম। তারপরের ঘটনা মেহজাবীনের মুখ থেকেই শুনুন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি, পোশাকটি কুঁচকে গেছে। দেখতে খারাপ লাগছে। অন্যরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই দ্রুত তাই পোশাকটি ইস্তিরি করতে গিয়েছিলাম।

গরম করে আয়রনটি যেই জামার ওপর রাখতে গেলাম, জায়গাটুকু পুড়ে গেল। আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছিল। দৌড়ে গিয়ে আম্মুকে দেখালাম। আমার কাণ্ড দেখে বাসার সবাই হাসছিল। সবার কথা, “এত পছন্দের পোশাক, এক দিনও পরতে পারলে না!” এখন তো ঈদে এত্ত এত্ত জামাকাপড় উপহার পাই। কিন্তু এখনো ঈদ এলে আমার সেই পুড়ে যাওয়া কামিজের কথাই আগে মনে পড়ে।’