যে ১০ ‘অজানা’ কারণে আপনি সব সময় হতাশা, বিষণ্নতা ও মানসিক চাপে ভোগেন
কোনো কোনো ব্যক্তিকে দেখলেই মনে হয়, তিনি দুঃখী বা গভীর ভাবনায় ডুবে আছেন; কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। সব সময় নেতিবাচক কথা বলছেন বা চিন্তা করছেন, এমন মানুষও দেখি আমরা। যেন তাঁর জীবনের আর কোনো আশাই অবশিষ্ট নেই। কোনো কিছুই তাঁকে সুখী বা সন্তুষ্ট করতে পারছে না। কেন এমন হয়?
১. তিনি হয়তো পুরোনো বা অতীতের কোনো ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি, অথবা পুরোনো ট্রমা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন ট্রমা সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে।
২. অনেকেই হতাশা বা বিষণ্নতায় ভোগেন অস্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যহীন, অবমাননাকর, টক্সিক সম্পর্কে থেকে। ভীষণ ভারী জীবনটাকে কোনোরকমে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর মতো করে জীবন্মৃত এক জীবন কাটান তাঁরা।
৩. সামাজিক জীবন যাপন না করার ফলে বা সোশ্যাল আইসোলেশনের কারণেও এমনটা হতে পারে।
৪. অবাস্তব, অযাচিত প্রত্যাশা থেকেও এ রকম হয়। প্রত্যাশা ও বাস্তবতার বিশাল ফারাক থেকেও অনেকে হুটহাট রেগে যান, বিষাদগ্রস্ততা বা হতাশায় ভোগেন।
৫. যে জীবনে শৃঙ্খলা নেই, সেই জীবন গতিহীন, বিষাদময়।
৬. ‘পারফেকশনিজম’ থেকেও অনেকে হতাশায় ভোগেন। তাঁরা সবকিছুই ‘পারফেক্ট’ চান, যা একরকমের ‘আনরিয়েলিস্টিক এক্সপেকটেশন’ বা অবাস্তব চাওয়া।
৭. অনেকে ভিটামিন বি, ডি বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বা পুষ্টির অভাবে হতাশায় ভোগেন। হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণে, কর্টিসলের প্রভাবেও অনেকে ডুবে যান নেতিবাচক চিন্তায়।
৮. শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে না গেলে বা রোদে না থাকার কারণেও অনেকে হতাশা বা বিষণ্নতায় ভোগেন।
৯. ক্রমাগত পড়াশোনার চাপ, প্রত্যাশার চাপ, পেশাগত কাজের চাপ, অর্থনৈতিক সংকট থেকেও এ রকম হতে পারে।
১০. বিষণ্নতায় ভোগার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো জীবনে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য না থাকা। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার শক্তিশালী কারণ থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক