এখনো সময় আছে, যাঁকে ভালো লাগে, সোজা বলে দিন—ভালোবাসি

আজ ৮ ফেব্রুয়ারি, প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার দিন
ছবি: প্রথম আলো

কড়া নাড়ছে প্রেমের দিন, কিন্তু তার আগে তো প্রেম চাই। চাই মনের মানুষ, প্রেমের মানুষ। আর প্রেমের পূর্বশর্ত তো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব। অবশ্য আয়োজন করে বলেকয়েই ভালোবাসাবাসি হতে হবে, এমন কথা নেই। তবু আনুষ্ঠানিক প্রেমপ্রস্তাবের গুরুত্ব যুগ যুগ ধরে স্বীকৃত। এই প্রস্তাব দিতে গিয়ে যে কত ঝক্কিতে পড়েন প্রেমপ্রার্থী, সে কথা বলাই বাহুল্য। অধিকাংশ লোকই তো তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। দরদর করে ঘামতে থাকেন। গলা শুকিয়ে যায়। জড়িয়ে যায় শত মহড়া দিয়ে প্রস্তুত করে রাখা কথার বহর। বুকের ভেতর রিখটার স্কেলের উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প, হাঁপরের মতো বিরামহীন ওঠানামা। প্রত্যাখ্যানের ভয়, সহস্র সংশয়—সে রাজি হবে কি? যদি ‘না’ করে দেয়!

পছন্দের মানুষকে প্রস্তাব দেওয়ার সময় এমন অবস্থার মুখোমুখি হননি, এ রকম মানুষ কিন্তু কমই আছেন। বন্ধুমহলে স্মার্ট, আচার-আচরণ, কথাবার্তায় দারুণ সপ্রতিভ ব্যক্তিটিও প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়ে রীতিমতো স্নায়ুচাপে পড়ে যান। কে জানে, ওখানেই বোধ হয় প্রেমের সৌন্দর্য!

আবার অনেকেই আছেন, এই অবস্থার স্নায়ুচাপটুকু নিতে পারেন না বলে কোনো দিন হয়তো প্রিয়জনকে প্রিয় কথাটি বলেই উঠতে পারেন না। এই একটুখানি স্নায়ুচাপ কিন্তু পুরো জীবন ভোগাতে পারে প্রেমহীনতার যন্ত্রণায়।

চলছে ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় প্রপোজ ডে হিসেবে। হ্যাঁ, একেবারে ধারাবাহিকতার নিয়ম মেনে প্রথমে প্রস্তাব, এরপর প্রেম। অতঃপর তুমুল ভালোবাসাবাসিতে ভালোবাসা দিবসের উদযাপন।

আজ ৮ ফেব্রুয়ারি, প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার দিন। ভালোবাসা দিবসের সংস্কৃতি থেকেই দিনটির উৎপত্তি। তবে ঠিক কবে দিবসটির চল হয়েছিল, তা জানা যায় না। মনে করা হয়, ১৪৭৭ সালে অস্ট্রিয়ার তৎকালীন আর্চডিউক ম্যাক্সিমিলিয়ানের ম্যারি অব বারগেন্ডিকে হীরার আংটি দিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনাটি ভূমিকা রেখেছে এই দিবস প্রচলনের ক্ষেত্রে। আবার ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ রাজকন্যা শার্লটের সঙ্গে তাঁর হবু বরের বাগদানের ঘটনাটিও প্রস্তাব দিবসের আলোচনায় প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন অনেকে।

সেসব যা–ই হোক, আজকের দিনটি কিন্তু হেলায় নষ্ট করবেন না; প্রিয়, এমন দিন যেন যায় না বৃথাই। যাঁকে ভালো লাগে, সাতপাঁচ না ভেবে সোজা বলে দিন—ভালোবাসি।