টেলর সুইফটের ভক্তের গর্ভের সন্তানও দেখাল ‘হার্ট হ্যান্ড’

টেলর সুইফটকে এখন কেবল সংগীততারকা ডাকা হলে ভুল হবে। তিনি এখন একটা উন্মাদনার নাম। সেই উন্মাদনা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, নিচের এই উদাহরণ থেকে তার একটা ধারণা পাবেন।

পৃথিবীতে আসার আগেই সেই সন্তান দিব্যি সুইফটি বনে গেছে
ছবি: সংগৃহীত

মেরি স্মিথ নামের এক অন্তঃসত্ত্বা সুইফটি (সুইফট–ভক্তদের এই নামে ডাকা হয়) তাঁর ১৩ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডের একটা ছবি সম্প্রতি টিকটকে শেয়ার করেন। সেই ছবি দেখলে মনে হবে, পৃথিবীতে আসার আগেই সেই সন্তান দিব্যি সুইফটি বনে গেছে!
আলট্রাসাউন্ডে দেখা যায়, গর্ভের ওই শিশু দুই হাত মাথার ওপরের দিকে নিয়ে হৃদয় চিহ্ন এঁকেছে। যেমনটা টেলর সুইফট স্টেজে তাঁর ভক্তদের জন্য দেখান। ১৩ সপ্তাহের ভ্রূণের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমতো চমকে যান মেরি স্মিথ। শুরুতে মেরি স্মিথের মনে হয়েছিল, এটা তাঁর ভ্রম বা মনের ভুল। তাই তিনি নিশ্চিত হতে ওখানে উপস্থিত টেকনিশিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনিও বলেন যে গর্ভের শিশুটি আসলেই টেলর সুইফটের মতো হাত ওপরের দিকে তুলে ‘হার্ট’ চিহ্ন বানিয়েছে।

সনোগ্রামের ছবি হাতে মেরি স্মিথ, তাঁর জীবনসঙ্গী, এই দম্পতির ১৭ মাস বয়সী পুত্র ও পোষা কুকুর
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

মেরি স্মিথ টুডে ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে ভাবতাম যে আমি এই মহাবিশ্বে টেলর সুইফটের সবচেয়ে বড় ভক্ত। এখন আমি নিশ্চিত। আমি যখন সনোগ্রামে দেখলাম, সেটা অবিশ্বাস্য একটা অনুভূতি।’ মেরি আরও জানান, তিনি যখন স্কুলে পড়তেন, তখন তাঁর মোবাইলের রিংটোন ছিল ‘আওয়ার সং’। অন্যান্য বছরের মতো গর্ভাবস্থার প্রতিটি দিনও তিনি টেলর সুইফটের গান শুনে কাটিয়েছেন। একটি দিনও সুইফটের গান ছাড়া পার করেননি। মেরির ধারণা, তাঁর এই সন্তান কথা বলার আগেই টেলর সুইফটের গান গাইবে। মেরি ও তাঁর জীবনসঙ্গী অক্টোবরে তাঁদের এই সন্তানকে পৃথিবীতে স্বাগত জানাতে চলেছেন। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন, মেরি ‘লেবার রুমেও’ সুইফটের গান বাজাবেন।

ইতিমধ্যে এই দম্পতির ১৭ মাসের একটা ছেলে আছে। ছেলের নাম নাসটন। এটা টেলরের জন্ম ও বেড়ে ওঠার শহর, যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির নাসভিল থেকে অনুপ্রাণিত। মেয়ের নাম আগেই ঠিক করে রেখেছেন তাঁরা, ব্লেকলিন। টেলর–ভক্তমাত্রই জানেন, টেলর আর হলিউড তারকা ব্লেক লাইভলি—এ দুজন খুবই ভালো বন্ধু।

মেরি স্মিথ ও তাঁর জীবনসঙ্গীর ১৭ মাসের একটা ছেলে আছে। ছেলের নাম নাসটন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

গত গ্রীষ্মে মেরি ও তাঁর জীবনসঙ্গী মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে ইরাস ট্যুর দেখতে যান। এ জন্য বছর ধরে মেরি নিজের চাকরির পাশাপাশি আরেকটা কাজ নেন। অতিরিক্ত সময় কাজ করেন। খরচ বাঁচান। মেরি বলেন, ‘আমরা নিজেদের জমানো অর্থ সবচেয়ে ভালোভাবে খরচ করেছি। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটা ব্যপার!’

৩৪ বছর বয়সী টেলর সুইফটের ইরাস ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিরিজের স্কটল্যান্ড কনসার্টটি গতকাল শুক্রবার থেকে রাজধানী এডিনবার্গে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে তিন দিনের জন্য শহরটাকে ডাকা হচ্ছে ‘টেলর টাউন’। ম্যারিফিল্ড স্টেডিয়ামের ৭৩ হাজার সিটের একটিও খালি নেই! ডিসেম্বরে এই ট্যুর যখন শেষ হবে, তখন এটা থেকে শুধু রাজস্বই জমা হবে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার!

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সংগীততারকাদের ভেতর জে জেড আর রিহানার পরই টেলর সুইফটের অবস্থান। তবে প্রথম দুই তারকার রয়েছে প্রসাধনীসহ আরও নানান ব্যবসা।