খ ইউনিটে প্রথম হওয়া দিগন্ত জানালেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি’

২২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পেরোনো দিগন্ত বিশ্বাস। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আশিকুজ্জামান

দিগন্ত বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষা দেওয়ার সময় কী মনে হয়েছিল, প্রথম হবেন?

ফল ভালো হবে, এটা পরীক্ষার পরই বুঝতে পেরেছিলাম। আশির বেশি নম্বর পাব, অনুমান করেছিলাম। রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পর দেখি, স্কোর এসেছে ৮২.২৫। তবে রেজাল্টে মেরিট পজিশন উল্লেখ করা ছিল না। পরে এক বন্ধু ফোন করে জানায় আমার স্কোর সর্বোচ্চ।

আপনি কি ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় ভালো?

আমার মা-বাবা দুজনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নেওয়ার পর খুব একটা ভালো লাগছিল না। পরে উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। তখন থেকেই পড়াশোনায় একটা গতি আসে। কলেজের প্রথম পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছিলাম, ইংরেজি পরীক্ষায় নম্বর ছিল সর্বোচ্চ।

করোনার বন্দী সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন?

বাসায় বসে পড়াশোনা করেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে। চেষ্টা করেছি নিজেকে সময় দিতে। এই সময়ে ইংরেজি, আইসিটি বিষয়গুলো আয়ত্তে নিয়ে এসেছিলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি কেমন ছিল?

উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথমে সিলেবাস শেষ করার দিকে জোর দিয়েছি। একেকটা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসে, সেটা মাথায় রেখেই পড়ার ওপর গুরুত্ব দিতাম। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে এসে প্রথম পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলাম। ফলে আরও উৎসাহ পেয়েছি।

আরও কোথাও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগের মেধাতালিকায় ২৫৮৯তম হয়েছি। জাহাঙ্গীরনগরে নাট্যকলা ও চারুকলা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক বিভাগে মেধাতালিকায় ভালো অবস্থান হয়েছে।

কোথায় ভর্তি হবেন?

ঢাকায় থাকার ইচ্ছাটা আমার বেশি। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রথম পছন্দ। বড় আপুর বাসায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করেছি। সেখানে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারব। সংস্কৃতি নিয়ে আমার আগ্রহ আছে। ঢাকায় থেকে বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই।

কোন বিষয়ে পড়বেন ভাবছেন?

অর্থনীতি। এই বিষয় আমাকে বেশ টানে।

ছোটদের এখন কী পরামর্শ দিচ্ছেন?

উচ্চমাধ্যমিক থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে চাপ কমে যাবে। ভোকাবুলারি, ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানো এবং সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে হবে গুরুত্ব দিয়ে। পারলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে হবে। দিনকে কাজে লাগাতে হবে।