সময়টাকে ধরে রাখতে চেয়েছেন সুমাইয়া ও তাঁর বন্ধুরা

খুলনা শহরের দেয়ালে দেয়ালে এঁকেছেন একদল তরুণ
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে আন্দোলনের মাত্রা যখন চরমে, তখন কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়ালচিত্র আঁকার কর্মসূচি দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে রংসহ কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনেছিলেন খুলনার সরকারি ব্রজলাল কলেজের (বিএল কলেজ) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার। কিন্তু সেটা দিয়ে নিজ এলাকার দেয়াল রাঙানোর সাহস পাননি তখন। পরে আন্দোলনের সময় রাস্তায় কিছু স্লোগান-ছবির কাছে রংগুলো ব্যবহার করেন। নিজ এলাকা খালিশপুরের দেয়াল রাঙানোর ইচ্ছাপূরণ শুরু করেন সরকার পতনের পর।

রং কেনায় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন বন্ধু, সহপাঠী, সিনিয়ররা। বিভিন্ন ছবিতে তাঁরা তুলে ধরেছেন আন্দোলন–পরবর্তী বাংলাদেশের নানা বাস্তবতা।

দেশ সংস্কারের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

সুমাইয়া বলেন, ‘আসলে এমন কনসেপ্টে কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো—এই সময়টাতে দেশে কী কী ঘটেছে, সেটার একটা স্মৃতি রেখে যাওয়া। তা ছাড়া নতুন দেশের সংস্কারে মানুষের বিবেকের যে পরিবর্তন হওয়া দরকার, তার একটি বার্তাও ছিল। আমাদের মধ্যে পেশাদার শিল্পী কেউই নয়। আমি আর আমার এক ছোট বোন শখের বশে টুকটাক আঁকাআঁকি করতাম। সেই হিসেবে কিছুটা আইডিয়া ছিল। আমাদের টুকটাক আইডিয়া আর আমার বন্ধুদের অক্লান্ত পরিশ্রম—সব মিলিয়ে দেয়ালচিত্রগুলো পূর্ণ রূপ পেয়েছে।’

সুমাইয়াদের আঁকা দেয়ালচিত্র
ছবি: সংগৃহীত

এখন পর্যন্ত খালিশপুর পুলিশ ফাঁড়ির দেয়াল, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজের দেয়াল এবং বিএল কলেজের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের দেয়ালে এঁকেছেন তাঁরা। বলছিলেন, ‘দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতির কাজগুলো বেশির ভাগ শহরকেন্দ্রিক হয়েছে। খুলনার শিববাড়ী মোড়েও প্রচুর কাজ হয়েছে। আমরা এখন এটাকে শহর থেকে একটু দূরেও নিয়ে যেতে চাচ্ছি। সে জন্য আমরা ডুমুরিয়া এলাকায় কিছু গ্রাফিতি করার পরিকল্পনা করছি।’