আপন ফ্রেমে জুয়েল

স্ত্রী গোধূলী খান, দুই মেয়ে আইয়ান ও অ্যালিনাকে নিয়ে জুয়েলের নিজের ভুবন
স্ত্রী গোধূলী খান, দুই মেয়ে আইয়ান ও অ্যালিনাকে নিয়ে জুয়েলের নিজের ভুবন

জুয়েল সামাদ। এএফপির ফটোসাংবাদিক। ক্যামেরা হাতে তিনি ছুটে

ক্যামেরা হাতে চেনা ভঙ্গিতে জুয়েল সামাদ। ছবি: সুমন ইউসুফ
ক্যামেরা হাতে চেনা ভঙ্গিতে জুয়েল সামাদ। ছবি: সুমন ইউসুফ

বেড়ান দেশ-দেশান্তর। বর্তমানে তাঁর কাজ যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে। জিনস আর টি-শার্ট পরতে পছন্দ করেন। চলনে-বলনেও আছে নিজস্বতা।
তিনি পোশাকে মানেন নিজের স্টাইল আর চলন-বলনেও রাখেন স্বকীয়তা। ‘জিনস আর টি-শার্ট আমার প্রিয় পোশাক। বিশেষ কারণ ছাড়া এই পোশাক পরতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু এখন হোয়াইট হাউসে কাজ করার সময় পরতে হয় নির্ধারিত পোশাক।’ কথা শুরু হয় জুয়েল সামাদের সঙ্গে। এখন তিনি বেড়াতে এসেছেন ঢাকায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাকা ওবামা যখন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচন করেছেন, তখন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিজয়ের মুহূর্ত ধরা পড়েছে জুয়েলের ক্যামেরায়। তাঁর ক্যামেরায় তোলা ওবামার ছবি ছড়িয়ে গেছে গোটা দুনিয়ায়। আর ছবি তোলার জন্যই পোশাকটা হতে হয় আরামের ও কাজের উপযোগী। খেলার মাঠে ছবি তোলার সময় যেমন তিনি শর্টস পরতে পছন্দ করেন, পারিবারিক বা সামাজিক নানা আয়োজনে আবার জুয়েলের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি।
শুধু পোশাকই নয়, আঙুলে আংটি পরেন নিয়মিত, সেটাও নিজস্ব স্টাইলে। কথা বলার ফাঁকে তাঁর হাতের বুড়ো আঙুলেও দেখা গেল একটা আংটি। শরীরে ট্যাটু আঁকানোর প্রতি আছে এই আলোকচিত্রীর বিশেষ দুর্বলতা। বিশেষ পক্ষপাত খাবারের ক্ষেত্রেও। পুরান ঢাকায় শৈশব পার করা জুয়েল সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের সঙ্গে খেতে পছন্দ করেন ভর্তা, মাছ, নেহারি-তন্দুরি, পুরি, চটপটি-ফুচকা। ‘বাসায় বা বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে পছন্দের সব খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই পুরো বছর অপেক্ষায় থাকি ঢাকায় ফেরার।’ তাঁর কাছে এ-ও জানা গেল, তিনি যত দিন ঢাকায় থাকেন, সকালের নাশতাটা হোটেলেই সারেন।
খাবার আর পোশাকের কথা ধরে গল্প এগোতে থাকে জুয়েল সামাদের সঙ্গে। জানতে চাই তাঁর পছন্দের ক্যামারা সম্পর্কে। ‘ফুজি-৬১ আমার খুবই 
পছন্দের একটি ক্যামারা। ফটোগ্রাফির জন্য তো বটেই, এটি বহন করা খুবই আরামদায়ক। তবে অফিশিয়াল অ্যাসাইনমেন্টে সব সময় হাতে থাকে নিকন ডিএসএলআর জি৪এস।’ বললেন জুয়েল সামাদ।
নতুন ধাঁচের ক্যামেরা শুধু নয়, প্রযুক্তির নতুন জিনিসের প্রতি রয়েছে তাঁর বিশেষ আগ্রহ। কোনো বিশেষ প্রযুক্তিপণ্য বাজারে এলেই জিনিসটি পরখ করে

ই–বুক পড়েন নিয়মিত
ই–বুক পড়েন নিয়মিত

দেখেন জুয়েল। মুঠোফোনের ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দ আইফোন। কিন্তু পছন্দের এই পণ্যটি হাতছাড়া করতে হয়েছে এলজির স্মার্টওয়াচ পেয়ে। এই স্মার্টওয়াচ নিয়ে বেশ স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। যেমনটি বলছিলেন, ‘তাৎক্ষণিক ই-মেইল দেখা বা কোনো ফোন এলে আমি ঘড়িতেই দেখতে পাই। ব্যস্ততার সময় জরুরি ফোনকল ধরা ও সিদ্ধান্ত নিতে এটি খুবই সহায়ক।’
জুয়েল সামাদের অবসর কাটে স্ত্রী গোধূলী খান ও মেয়ে আইয়ান আর অ্যালিনাকে নিয়ে। তবে ফুরসত পেলেই ই-বুক হাতে বসে যান ফিকশন পড়তে। তিন গোয়েন্দায় কৈশোর পার করা জুয়েল সামাদ এখন পড়েন লি চাইল্ডের বইগুলো।