
চোখে কাজল, ঠোঁটে মানানসই লিপস্টিক, সবই আছে। তার পরও মুখটা শুকনো দেখাচ্ছে? পরে নিন নাকফুল। একদম পাল্টে যাবে চেহারা।
শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেই শুধু মানায় নাকফুল, এমন ধারণা বদলে গেছে অনেক আগেই। গয়না হিসেবেও নয়, বরং সাজেরই একটা অংশ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এখন নাকফুল বা নথ। সব ধরনের পোশাকেই এটি মানানসই। রিং, পিন বা নথের মতো নাকফুল পাওয়া যাচ্ছে। বড়, ছোট, একটি বা কয়েকটি পাথর বসানোও আছে। একসময় সাদা পাথরের চল বেশি থাকলেও এখন নানা রঙা পাথরের নাকফুলও পরছেন অনেকে। তবে মুখের গড়ন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে নাকফুল।

রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন জানালেন, এখন নানা ধরনের নোজ পিন বা নোজ রিং পাওয়া যাচ্ছে। কেউ ব্যবহার করছেন ছোট্ট হিরে বসানো নোজ পিন আবার কেউ বেছে নিচ্ছেন নথের মতো নাকফুল। অনেকেই শুধু সোনার একটি দানাও ব্যবহার করছেন। ইদানীং নাকটা কেউ খালি রাখতে চান না। অন্য কোনো গয়না পরুক বা না পরুক, নাকে নাকফুল থাকা চাই-ই।
নাক ফোঁড়ানো থাকলে তো হলোই, না হলেও সমস্যা নেই। টিপবোতামের মতো নাকফুলও পাওয়া যায়, যা নাক ফোঁড়ানো না থাকলেও পরতে পাবেন। এ ছাড়া অনেকে সাদা পাথরের টিপও ব্যবহার করেন নাকফুলের মতো করে। সোনা বা রুপার রিংও পরতে পারেন নাকে। তবে অনেক সময় আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে এটি মানায় না। সে ক্ষেত্রে ছোট সাদা পাথরের পিনই ভালো।
একসময় নাকের বাঁ-পাশটাই ফোঁড়ানোর চল ছিল। তবে এখন যেকোনো পাশেই ফোঁড়ানো হচ্ছে। নাক ফোঁড়ানোর পর কয়েক দিন শুধু সোনার নাকফুল পরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় জীবাণু সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার জন্য। পরে চাইলে ইচ্ছামতো নাকফুল পরতে পারেন।
বাজার ঘুরে
আড়ংয়ে পাবেন নানা নকশার নাকফুল। রিংও আছে এখানে। এগুলো সোনার ও হীরার। এ ছাড়া নানা শপিং মলে গয়নার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ইমিটেশনের নাকফুল। গাউসিয়া ও চাঁদনীচকেও পাবেন। এ ছাড়া যাত্রাতেও নথ স্টাইলের নাকফুল পাওয়া যাচ্ছে। সোনার গয়নার দোকান থেকে কিনে বা বানিয়ে নিতে পারবেন।