নেকলেসে নতুনত্ব

কানে বড় গয়না পরলে গলার গয়না সাদামাটা। কিংবা এর উল্টোটা। পোশাকের অনুষঙ্গ হবে গয়না, এমনই তো চলে আসছে। তবে এই সময়ের ট্রেন্ড বদলে গেছে। কেবল গলায় একটা বড় নেকলেসই আপনার সাজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হয়ে উঠতে পারে। পোশাকটা হবে তারই পরিপূরক। ‘বোল্ড’, ‘স্টেটমেন্ট’, ‘চাংকি’—নানা রকম বিশেষণ বসানো হলেও ব্যাপার একই। আকারে বড়, সবার আগে চোখে পড়ে এমন নেকলেসই এখন চলছে।

নকশায় বৈচিত্র্য
সাধারণ সুতির কামিজ বা টপের সঙ্গে ফ্যাশনেবল নেকলেস বেশ পরছেন তরুণীরা। পোশাকের গলার অংশটা লো কাট বা ছড়ানো হলে গলার নিচের ওই খালি অংশটা ভরাট করে ফ্যাশনেবল নেকলেস পরুন। ধাতুর তৈরি প্যাঁচানো নকশার (স্পাইরাল) নেকলেসও বেশ চলছে এখন। তবে বিভিন্ন শোরুম ঘুরে দেখা যায় পাথরের বদলে ধাতব নেকলেসের চাহিদাই বেশি।

সিকোসোর পরিচালক আজরিন আলম জানালেন, সাদামাটা পোশাকের সঙ্গেই এ ধরনের ‘স্টেটমেন্ট নেকলেস’ মানানসই। পোশাকের ওপরের ভাগে নকশা থাকলে তাতে নেকলেস ও পোশাকের নকশা দুটোই চাপা পড়ে যায়। এ ধরনের নেকলেস যখন প্রথম আসে, তখন শুধু পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গেই পরার উপযোগী ছিল। এখন সংগ্রহে বৈচিত্র্য এসেছে, শাড়ির সঙ্গে স্বচ্ছন্দে পরা যায় এমন নেকলেসও পাওয়া যাচ্ছে। অ্যান্টিক ধাঁচের বড় নেকলেসগুলো শাড়ির সঙ্গে মানানসই হবে।

তামা, পিতল, রুপা ইত্যাদি ধাতুর রঙে নেকলেসগুলো বেশি পাওয়া যাচ্ছে। নানা রকম ফুল, পয়সা, জ্যামিতিক মোটিফ দিয়ে নকশা করা হচ্ছে। চোকার, বিব, কলার কিংবা দুই-তিন ছড়ার স্টাইলে তৈরি হচ্ছে এগুলো। গাউন কিংবা ম্যাক্সি ড্রেসের সঙ্গে কন্ট্রাস্ট নকশা ও রঙের বড় নেকলেস এখন খুব পরতে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের মডেল ও অভিনয়শিল্পীদের সাজ পোশাকেও এর ব্যবহার চলছে। কথা হয় মডেল দোয়েলের সঙ্গে। বড় নেকপিস দিয়ে পছন্দের লুক কীভাবে তৈরি করেন, তা জানিয়ে দিলেন তিনি। ‘ছিমছাম সাদা শার্টের সঙ্গে কমলা কিংবা ম্যাজেন্টা রঙের বড় নেকলেস পরি। চুলটা উঁচু খোঁপা করে বেঁধে নিই। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা ফটোশুটে অনুজ্জ্বল কোনো রঙের গাউন পরি, তার সঙ্গে গলায় থাকে ঝকঝকে বড় নেকলেস। এর সঙ্গে অন্য কোনো অলংকার পরি না। তবে মাঝেমধ্যে কানে খুব ছোট এক পাথরের টপ ব্যবহার করে থাকি।’
কোরিয়া, ভারত এসব দেশ থেকে আনা হয় নেকলেস। এ ছাড়া দেশেও কিছু তৈরি হয়।

জেমস গ্যালারির পরিচালক কামরুল ইসলাম খান বিভিন্ন জায়গার নেকলেসের বৈশিষ্ট্য কেমন, সে সম্পর্কে জানালেন। কোরিয়ান নেকলেসগুলোতে পাথরের ব্যবহার বেশি। ভারতীয় নেকলেস নানা রকম ধাতুর তৈরি হয়ে থাকে। আমাদের দেশি নেকলেসগুলো তৈরিতে সাধারণত তামা ব্যবহার করা হয়।

অনলাইন শপ ওপাল ফ্যাশন ওয়্যারের পরিচালক রুবাইযা দীপা বলেন, ‘ইদানীং চওড়া ও ভারী নেকলেসগুলোর চল দেখা যাচ্ছে। পয়সার মোটিফে নকশা করা নেকলেসগুলো বেশ জনপ্রিয় এখন। বোহিমিয়ান বা হিপ্পি ধাঁচের এ নেকলেসগুলো দুই-তিন ছড়ার বা আরও জমকালো হয়।
কোথায় পাওয়া যাবে
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস যেমন রঙ, অঞ্জনস, আড়ং ও বিবিয়ানায় দেশি নকশার নেকলেস পাবেন। এ ছাড়া আরবান ট্রুথ, সিকোসো, কে জেড, লা বেলা স্টুডিও, জেমস গ্যালারিতেও পাবেন পাথর ও ধাতুর তৈরি ভারী নেকলেস। অনলাইন দোকান ওপাল ফ্যাশন ওয়্যার, মারমেইড, কালারস অব কাঠমান্ডু, ড্যাজলিং ফ্যাশন জুয়েলারি অ্যান্ড এক্সেসরিজ বাংলাদেশ থেকে চাইলে আপনিও অর্ডার করতে পারেন বিভিন্ন ডিজাইনের নেকলেস।
দরদাম
আকৃতি ও ডিজাইন অনুযায়ী এসব নেকলেসের দাম পড়বে ৪৫০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।