ব্যাগে স্মৃতি জমা করেন মীরা কাপুর

মীরা রাজপুত কাপুরকে যদি কেবল শহীদ কাপুরের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করানো হয়, তবে সে ভারি অন্যায়। দুই সন্তানের মা হওয়ার পরও ফ্যাশনের দুনিয়ায় ক্রমে তাঁর বাহার বেড়েই চলেছে। ইনস্টাগ্রাম স্টার হিসেবেও ইতিমধ্যে তিনি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি হাতে তুলেছেন ভোগ বিউটি অ্যাওয়ার্ড। এবার ফরাসি লাক্সারি ব্র্যান্ড লুই ভুতোঁর একটি ব্যাগের অ্যাম্বাসেডর হয়ে আলোচনায় এলেন এই ফ্যাশন আইকন।

মীরা রাজপুত
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মীরা রাজপুতকে যখন ভোগ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ফোন করা হয়, তখন তিনি ভোগের ফটোশুট শেষে তাঁর ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে একটা ইনস্টাগ্রাম লাইভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ২৮ লাখ ভক্তের সঙ্গে সহজ–স্বচ্ছন্দ সম্পর্ক মীরার। সেখানে তিনি অকপটে তাঁর উদ্‌যাপন, দৈনন্দিন জীবনের কথা ভাগ করে নেন, ফ্যাশন আর মেকআপ নিয়ে দেন নানা পরামর্শ।

ভোগের ফটোশুটে মীরা
ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নেওয়া

মীরা লুই ভুতোঁর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমি এমন সময় একটা ব্যাগ কিনে ফেললাম, যখন আমি কোথাও বেড়াতে যাচ্ছি না। আমি নিজেই অবাক। পরে ব্যাগটা নেড়েচেড়ে দেখলাম, এই ব্যাগ নিজের করে নেওয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। কেননা, ব্যাগটি যেন ঠিক আমারই প্রতিচ্ছবি। মানে আমি যদি একটা ব্যাগ হতাম, তাহলে যেমনটা হতাম, ঠিক তেমন। উচ্ছল সূর্যের আলোর মতো একটা হলুদ রং। আমার মতো, ক্ল্যাসি আর মজার।’ মীরা জানান, তাঁর ব্যক্তিত্ব, দর্শন, সংবেদনশীলতা আর জীবনযাপনের সঙ্গে লুই ভুতোঁর ব্যাগ নাকি খুব মানানসই। এই ব্র্যান্ডও তাই তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

মীরা জানান, তাঁদের বাড়িতে অনেক ব্যাগ আছে। তিনি ও তাঁর জীবনসঙ্গী শহীদ কাপুর দুজনই ব্যাগ দারুণ পছন্দ করেন। মীরা এ–ও জানান, তাঁর চেয়ে নাকি শহীদের বেশি ব্যাগ আছে। আর শহীদ কাপুরের পছন্দ নাকি আরও বেশি রুচিশীল।

ভোগের ফটোশুটে মীরা
ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নেওয়া

তবে ছোট আকৃতির ক্ল্যাসি, টিপটপ ডিজাইনের ব্যাগ বেশি পছন্দ মীরার। কেন? তিনি বললেন, ‘আমার ইতিমধ্যে দুটি বাচ্চা আছে। যেখানেই যাই, তাদের নিয়ে বের হতে হয়। তাই ব্যাগটা যাতে আরেকটা বাচ্চা হয়ে না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখি।’

মীরা স্লো ফ্যাশনের পক্ষে। কোনো কিছু কেনার আগে সেটা কতটা টেকসই হবে, সে দিকটা বিশেষ বিবেচনায় রাখেন তিনি। ব্যাগগুলোর ব্যাপারে বললেন, ‘আমি এমন সব ব্যাগ কিনি, যেগুলো অনেক পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। অনেক দিন টিকবে। সেই ব্যাগের ভেতরে অনেক স্মৃতি জমা হবে। তারপর আমি আমার মেয়ের হাতে সেই ব্যাগ তুলে দেব। আমার পাশেই আমার মেয়ের স্মৃতিগুলো জমা হতে থাকবে।

ভোগের ফটোশুটে মীরা
ছবি: মীরা রাজপুতের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নেওয়া

তাই অন্তত কয়েক দশক যাতে ব্যাগগুলো টেকে, সেদিকে খেয়াল রাখি। আর ব্যাগগুলো যাতে নানা কাজে ব্যবহৃত করা যায়, সেটিও ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে আমি খেয়াল রাখি। আমি ভিন্টেজ ফ্যাশনের ভক্ত। কেবল ব্যাগ নয়, কোনো কিছুর দিকে তাকালে যাতে সেটার সঙ্গে যুক্ত অনেক স্মৃতি মনে পড়ে, সেটি আমার কাছে মুখ্য।’