মস্কো ফ্যাশন উইকে কবে এসেছেন?
১৪ মার্চ। এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। এই ফ্যাশন শোতে এসে বিচিত্র ধরনের সৃজনশীল কাজ দেখছি। বিশ্ব ফ্যাশনের নানা রকম দৃষ্টিভঙ্গি কাছ থেকে দেখার সুযোগ সত্যিই আমাকে অনুপ্রাণিত করছে।
প্রথম আলো :
একজন ফ্যাশন সাংবাদিক হিসেবে আপনার কাছে ফ্যাশন ও স্টাইল কী?
আমার কাছে ফ্যাশন হলো নিজেকে প্রকাশের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ফ্যাশন দিয়েই আমি আমার শৈল্পিক দিকটি ফুটিয়ে তুলতে পারি। স্টাইল বলতে বুঝি একান্ত ব্যক্তিগত পরিসর, যা একজন মানুষকে বুঝতে সাহায্য করে। স্টাইল দিয়ে ওই ব্যক্তিমানুষটির গল্প সহজে বোঝা যায়।
উগান্ডার তরুণেরা কী ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করেন?
উগান্ডার ফ্যাশন খুবই বৈচিত্র্যময়। তরুণেরা নিজের পছন্দ-অপছন্দ ছাড়াও আবহাওয়া বুঝে পোশাক পরে থাকেন। বর্ষাকালে যেমন লেয়ারিং ও গরম পোশাক পরেন, গরমের সময় আবার ভিন্নরূপ। তখন লোকজন তুলনামূলক হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক বেছে নেন। তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সমসাময়িক আফ্রিকান ফ্যাশনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড মিশিয়ে পোশাক পরেন।
প্রথম আলো :
কত দিন ধরে ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন?
২০১৩ সালে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, তখন থেকেই ফ্যাশন সাংবাদিকতা শুরু করি। তখন থেকে আমি উগান্ডার অন্যতম শীর্ষ সংবাদপত্র ডেইলি মনিটরে কাজ করছি। এক যুগের এই সাংবাদিকতায় আমি ফ্যাশনভিত্তিক ফিচার, আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছি।
আপনার দেশে এমন কোনো ডিজাইনার কি আছেন, যাঁর কাজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত?
হ্যাঁ, এমন বেশ কয়েকজন ডিজাইনার আছেন। যেমন ধরুন, আব্বাস কাইজুকা (ব্র্যান্ডের নাম কাই’স ডিভো কালেকশন), অনিতা বেরিল (বেরিল কতুর) ও ফাতুমা আশার মতো ডিজাইনাররা বিশ্ব ফ্যাশনে নজর কাড়ছেন। তাঁদের ডিজাইন বিশ্বের অনেক দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত হয়েছে। এই ডিজাইনাররা উগান্ডার ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রথম আলো :
মস্কো ফ্যাশন উইকে আপনি নানা রকম ব্র্যান্ডের পোশাকে উপস্থিত হয়েছেন। এগুলো কি উগান্ডার ব্র্যান্ড?
মস্কো ফ্যাশন উইকের এই আয়োজনে আমি নিজ দেশের তিনজন প্রতিভাবান ডিজাইনারের পোশাক পরেছি। এর মধ্যে আছেন আব্বাস কাইজুকা, লাভি স্টিচস ও জোয়ান জাদে। এই ব্র্যান্ডগুলোর প্রত্যেকটিই উগান্ডার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে।
প্রথম আলো :
মস্কো ছাড়া অন্য কোনো ফ্যাশন শো বা ফ্যাশন সামিটে অংশ নিয়েছেন?
হ্যাঁ, আমি কেনিয়া, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যাশন ইভেন্ট কাভার করার সুযোগ পেয়েছি। এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাকে বিশ্ব ফ্যাশনের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে আফ্রিকান ফ্যাশনের ভূমিকা বুঝতে সাহায্য করেছে।
প্রথম আলো :
এবার বলুন বাংলাদেশ সম্পর্কে কী জানেন?
সত্যি বলতে, তেমন কিছুই জানি না। তবে তোমার দেশে আমি যেতে চাই।