৩০ হাজার পাথর ও প্রাণীর নকল মাথা লাগানো পোশাক পরেছিলেন তারকারা

প্যারিস ফ্যাশন শোতে তুলে ধরা হয়েছিল গতানুগতিক ধারার বাইরের পোশাক

নকল প্রানীর মাথা আটকানো পোশাক পরে নামকরা মডেলেরা হেঁটেছেন স্ক্যাপারেলি ওত কট্যুর বসন্ত/গ্রীষ্ম ২০২৩-এর ফ্যাশন শোতেছবি: সংগৃহীত

উদ্ভট, সুন্দর, অদ্ভুত—বিশ্লেষক হিসেবে যে শব্দই ব্যবহার করুন না কেন, পোশাকে এসব ধারাই দেখা যাবে বছরজুড়ে। প্যারিস ফ্যাশন উইক ফল/উইন্টার ২০২৩ শুরু হয়েছে ১৭ জানুয়ারি থেকে। ২২ তারিখ পর্যন্ত চলেছে পুরুষদের পোশাকের প্রদর্শনী। ২৩ তারিখ, অর্থাৎ গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ওত কট্যুরের প্রদর্শনী। চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। প্রথম দিনেই প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহের জন্য স্ক্যাপারেলি ওত কট্যুর বসন্ত/গ্রীষ্ম ২০২৩-এর ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে তারকাদের নানা রকম বেশভূষা।  

আলোচনায় এসেছে দোজা ক্যাট নামে পরিচিত মার্কিন র‌্যাপারের লাল পাথর দিয়ে নিজেকে পুরো ঢেকে দেওয়া সাজ। দোজা ক্যাটের পুরো নাম আমলা রত্না জান্দিলে দ্লামিনি। তিনি র‌্যাপার, গায়ক, গীতিকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। প্যারিসের পেটিট প্যালেসে অনুষ্ঠিত এই ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিজের শরীরে চাপিয়েছেন লাল রঙের ৩০ হাজার স্যরাভস্কি স্ফটিক।

দোজা ক্যাটের লাল পাথরের সাজ
ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাশন ডিজাইনার ড্যানিয়েল রোজবেরির একটা জীবিত ভাস্কর্যের ধারণা সামনের সারিতে উপস্থাপন করতেই এত কষ্ট করা। মুখমণ্ডল, হাতসহ শরীরের অন্যান্য অংশে এসব পাথর বসাতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট। লাল পাথরের বাইরে তিনি পরেছিলেন সিল্কের তৈরি বুস্টিয়ের ও লেকার বার্নিশ করা কাঠের বিডস দিয়ে ঢাকা স্কার্ট। পায়ে ছিল লাল রঙের বুট।  

এর বাইরে নজর কেড়েছেন নাওমি ক্যাম্পবেল, শালম হার্লো ও ইরিনা শাইকদের মতো নামকরা মডেলরা। তাঁরা পরেছিলেন বিভিন্ন প্রাণীর নকল মাথা লাগানো গাউন। ডিজাইনার ড্যানিয়েল রোজবেরি বলেন, ‘এবারের সংগ্রহের ওপর কাজ করতে গিয়ে এমন কিছু কৌশল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম, যেসবের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তার বদলে সেই অন্ধকার দিকটি বেছে নিতে চেয়েছি, যেখানে সবকিছুই ভীতিকর, কিন্তু নতুন। এমন একটা জায়গার মধ্য দিয়ে আমার পথচলা অনুভব করব, যা আমি জানি না এবং আগে বুঝতে পারিনি।’

মডেল কাইলি জেনারের গাউনেও ছিল সিল্কের সুতা দিয়ে বানানো সিংহের মাথা
ছবি: নকশা

মডেল কাইলি জেনারও তাঁর কালো পোশাকের সঙ্গে একটা বিশাল সিংহের নকল মাথা যুক্ত করে সামনের সারিতে বসেছিলেন। তবে স্ক্যাপারেলি নিশ্চিত করেছে, এসব পোশাকের জন্য কোনো প্রাণীর ক্ষতি করা হয়নি।