তামিম মৃধা ১৮ দিন আগেও বর সেজেছিলেন
২৩ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন অভিনেতা ও ইউটিউবার তামিম মৃধা। তাঁর স্ত্রীর নাম রাইসা ইসলাম। দেড় বছর প্রেমের পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ছোট পর্দার এই অভিনেতা সদ্য প্রকাশিত ‘প্রথম আলো’র বিশেষ আয়োজন ‘বর্ণিল বিয়ে ২০২৪’-এ বরের পোশাকে সেজেছিলেন তার মাত্র ১৮ দিন আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি। এখন দেশের ফ্যাশনে বরের পোশাক কেমন চলছে, তারই ছাপ রয়েছে তাঁর পরা পোশাকগুলোতে। দেখে নিন ছবিতে
‘এক দিন পরবে, এত দেখার কী আছে!’ বরের পোশাক নিয়ে এ–ই ছিল একসময়ের ভাবনা। তবে একালের বরের সাজ সেই ধারণা থেকে যোজন যোজন দূরে। অপরূপ সাজে যে কনে, তাঁর পাশে বরের সাজও হওয়া চাই ব্যক্তিত্ববান। বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাই বরের পোশাক নিয়েও ভাবতে হয়। রং থেকে নকশা, তার সঙ্গে অনুষঙ্গ—সবটাই এখন গবেষণা করে কেনার সময়।
আমাদের দেশে বরের যে প্রচলিত সাজ, সেটা অনেকটা রাজা–বাদশাহদের মতো। শেরওয়ানি ছাড়া যেন পূর্ণতা পায় না বিয়ের আয়োজন। এখন ছোট থেকে ছোটতর বিষয়ের দিকেও খেয়াল রাখেন বর। বনেদিয়ানা আর আধুনিক, বরের সাজে দেখা যাচ্ছে দুই ধরনই। এখন দেশের ফ্যাশনে বরের পোশাক কেমন চলছে, তারই একটি ধারণা জানাচ্ছেন হাসান ইমাম
শেরওয়ানি হিসেবে এটাও খুব ভারী কাজের নয়। চাপা সোনালি এই শেরওয়ানির পুরো জমিনে ফুলেল নকশা করা। তবে কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সেই নকশায় কোনো বাড়াবাড়ি লাগবে না। চোখেও আরাম দেবে। কলারের অংশ সুতার কাজ দিয়ে কিছুটা জাঁকালো করা হয়েছে। ফুল ফিটিং এই শেরওয়ানির সঙ্গে চুড়িদার বেছে নিতে পারেন।
যাঁরা বিয়ের দিন খুব আঁটসাঁট শেরওয়ানি বা স্যুট পরতে চান না, এই পোশাক বেছে নিতে পারেন অনায়াসে। রয়্যাল ব্লু পাঞ্জাবি ও লম্বা কোটির মধে৵ বরকে খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না। পাঞ্জাবির তুলনায় কিছুটা খাটো রাখা হয়েছে কোটি, আর সেটার বর্ডারলাইনজুড়ে আছে গাঢ় নীল চুমকির কাজ। এর সঙ্গে প্যান্ট কাটের পায়জামা আর লোফার পরলেই সাজ পূর্ণ।
যাঁরা পোশাকে অনেক বেশি ভারী কাজ পছন্দ করেন না, কিন্তু বিয়েতে জমকালো থাকতে চান, এই শেরওয়ানি তাঁদের জন্য। প্রচলিত কাজের বাইরে এই শেরওয়ানি নতুনত্ব এনেছে জামদানির নকশায়। অনেক কনেই বিয়েতে জামদানি শাড়ি পরেন। সেই লুকের পাশে বরের এমন পোশাক মিলিয়ে দেবে জুটি হিসেবে। হলুদ–সোনালির মিশেলে তৈরি এই শেরওয়ানিতে গলা আর বুকের কাছে অল্প জরির কাজ। বোতামেও আনা হয়েছে সোনালি আবহ।
এলিগেন্ট সাজে যাঁরা থাকতে চান, এই শেরওয়ানি সেসব বরের জন্য। তবে এটা পরার জন্য সাহস জরুরি। আমাদের সমাজে বিয়ে মানেই কালারফুল পোশাক। সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে কালো রং পরতে চাইলে মনের জোর থাকা জরুরি। তবে কালো আর সোনালি নকশার এই জ্যাকার্ড কাপড়ের শেরওয়ানিতে বরের সাজে আপনি যে এক দশক এগিয়ে থাকবেন, সেটা নিশ্চিত।
ডুপিয়ান সিল্কের পেস্ট গ্রিন রঙের এই শেরওয়ানিতে মাল্টিকালার প্রিন্ট। সোনালি হাতের কাজের নকশা, চুমকি ও লেসের ব্যবহারে পোশাকটি হয়েছে আকর্ষণীয়। শেরওয়ানির বডিতে সেট করা কোটি এনেছে অভিজাত ভাব। ভেতরের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে সিল্ক। বিয়ের মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে নিজেকে সাজাতে পারেন এভাবে।