৯০ দশকের কিংবদন্তি অভিনেত্রীদের সম্মানে যেভাবে সেজেছিলেন স্নিগ্ধা

পিঠখোলা ও হাতাকাটা ব্লাউজের পেছনে ছিল বো-ফিতা
ছবি: কবির হোসেন

‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩’-এর আসরে নিজের নামের মতো সাজপোশাকেও স্নিগ্ধতা ছড়িয়েছেন মডেল স্নিগ্ধা চৌধুরী। সব রকম চাকচিক্য বাদ দিয়ে পরেছিলেন খুব হালকা শিফন কাপড়ে তৈরি একটি শাড়ি। তাতে ছিল না কোনো ঝলমলে জরি-পুঁতি বা পাথরের কারুকাজ। সাদা আর কালো ছাড়া তেমন কোনো রংও পোশাকে ছিল না। সাধারণ মনোক্রোমাটিক সাজেই সবার নজর কেড়েছেন স্নিগ্ধা। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা কেড়েছেন, সেটা হচ্ছে উপস্থিত সবার মন। পোশাকে তুলে ধরেছেন পুরোনো দিনের আবহ।

পোশাকে তুলে ধরেছেন পুরোনো দিনের আবহ
ছবি: কবির হোসেন

স্নিগ্ধা যেন একা আসেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৮০ ও ৯০ দশকের বড় ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় তিন চেহারা—শাবানা, ববিতা ও সুবর্ণা মুস্তাফা। তাঁদের সম্মানেই স্নিগ্ধার জন্য এক রাতের মধ্যে শাড়িটি তৈরি করেছে স্ট্রাইড। পিঠখোলা ও হাতাকাটা ব্লাউজের পেছনে ছিল বো-ফিতা। ভাঁজ করে পরা আঁচল ছিল সম্পূর্ণ সাদা।

শাড়িটির কালো ও সাদা রং বাংলা চলচ্চিত্রের সাদাকালো যুগের প্রতীক। শাড়ির নিচের দিকে ও ব্লাউজের পুরোটায় ছাপানো হয়েছে তিন কিংবদন্তির মুখ। তাঁরা আমাদের গর্ব, উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান স্নিগ্ধা। তিনি বলেন, ‘তিনজনই আমার ভীষণ প্রিয়। আমার অনুপ্রেরণা। তাঁদের সম্মানেই আজকের এই সাজপোশাক।’

শাড়িতে ছিল ছোট পর্দার জনপ্রিয় তিন চেহারা—শাবানা, ববিতা ও সুবর্ণা মুস্তাফা
ছবি: কবির হোসেন

গলায় ও কানে পরেছিলেন হালকা রুপার গয়না, তাতে বসানো ছিল সবুজ পাথর। মুখে হালকা বেজ, গাঢ় বাদামি চোখে ঘন করে দেওয়া কাজল আর ঠোঁটে লিপগ্লস—সব মিলিয়ে বেশ সূক্ষ্ম সাজে সেজেছিলেন এই মডেল। নিচু করে বেঁধেছিলেন চুলের খোঁপা। এই সাজের দায়িত্বে ছিলেন গালা মেকওভারের নাভিন আহমেদ।