লাইফস্টাইলের জগতে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এল টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ

ফিটনেস অ্যাপারেলশিল্পে নতুন একটি ধারা তৈরি করতে চায় টুর‍্যাগ অ্যাকটিভছবি: টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ

ফ্যাশনজগতে অ্যাকটিভওয়্যার বা শরীরচর্চার পোশাক একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এই শিল্পে বিশ্ববাজারে অনেক নামীদামি ব্র্যান্ড রয়েছে। বর্তমানে সম্পূর্ণ দেশীয় একটি ব্র্যান্ড আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের অ্যাকটিভওয়্যার তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডটির নাম টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ (turaag.com)। প্রতিষ্ঠানটি ফ্যাশন ও ফিটনেসে তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে ভিন্ন মাত্রায় কাজ শুরু করেছে। ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেড নামে নতুন একটি উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা করেছে ‘টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ’।

মূলত ফিটনেস অ্যাপারেলশিল্পে নতুন একটি ধারা তৈরি করতে চায় টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে দীর্ঘদিনের ব্যবহারিক জ্ঞান। লাইফস্টাইলের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক এই জ্ঞানকেই কাজে লাগাতে চায় তারা। এ জন্য উদ্যমী একদল কর্মী বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশে অ্যাকটিভওয়্যারের কোনো দেশি ব্র্যান্ড নেই বললেই চলে। কিন্তু এর মানে এই নয়, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। ফিটনেস ও অ্যাকটিভ লাইফস্টাইলের প্রতি সবার আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি অ্যাকটিভওয়্যারের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ প্রাথমিকভাবে অ্যাকটিভওয়্যারের ইউনিক কিছু কালেকশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। পুরুষদের জন্য ইন্টেন্স, গো ইজি, পারফর্মার ও ডন অফ এরা—এই চারটি কালেকশনে রয়েছে ভিন্ন স্টাইলের টি-শার্ট, জগার্স, শর্টস, পোলো শার্ট ও জ্যাকেট। নারীদের জন্য ভাইটালিটি, অপটিমাম, ফ্রিমুভ, ফ্লেক্স ৩৬০—এই চারটি ইউনিক কালেকশনের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন স্টাইলের টি-শার্ট, ট্যাংক টপ, স্পোর্টস ব্রা ও লেগিংস।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি পোশাক তৈরিতে সূক্ষ্ম চিন্তার ছাপ দেখা যায়। ওয়েবসাইটে তাদের পোশাকগুলো দেখলেই মানের পার্থক্য বোঝা যায়। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির কাপড়, যেমন পলিয়েস্টার, স্প্যানডেক্স ও নাইলনের মতো উচ্চমানের পারফরম্যান্স ফেব্রিক ছাড়াও তুলা ও ভিসকস তন্তু ব্যবহার করা হয় বলে পোশাকগুলো আরামদায়ক ও টেকসই। আর ফেব্রিকসের এই দারুণ কম্বিনেশন টুর‍্যাগ অ্যাকটিভের পোশাককে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।

নারীদের জন্য ভাইটালিটি, অপটিমাম, ফ্রিমুভ, ফ্লেক্স ৩৬০—এই চারটি ইউনিক কালেকশনের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন স্টাইলের টি-শার্ট, ট্যাংক টপ, স্পোর্টস ব্রা ও লেগিংস
ছবি: টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ

টুর‍্যাগ অ্যাকটিভের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক ফাইয়াজ রহমান বিশ্বাস করেন, শিগগিরই ব্র্যান্ডটিকে বৈশ্বিক মার্কেটে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। সর্বোপরি অ্যাকটিভ জীবনধারার জন্য একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ।

টুর‍্যাগ অ্যাকটিভের পোশাক খুবই নরম, টেকসই, সহনশীল, ওজনে হালকা এবং নমনীয়। এসব পোশাকে আমরা ব্যবহার করেছি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। নিয়মিত যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁদের জন্য এগুলো আরও বেশি উপযোগী হয়ে উঠেছে। এই পোশাকগুলোর উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো হলো ফ্ল্যাটলক সিমস, মেশ প্যানেলস, ফোর-ওয়ে স্ট্রেচ এবং ময়েশ্চার-উইকিং কোয়ালিটিজ। অ্যান্টি-ইরিটেশন স্টিচিং ব্যবহারের মূল লক্ষ্যই হলো ক্রেতারা যেন রেগুলার ওয়ার্কআউটে কাপড়ের কারণে বিরক্তি বোধ না করেন। বরং আরামদায়ক একটি এক্সপেরিয়েন্স পান এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ যেন ওয়ার্কআউটে দিতে পারেন।

ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে এসব পণ্যে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হতে পারে।

ফিটনেস–সচেতন প্রত্যেকের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে আস্থা অর্জন করাই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা হয় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ড এবং বাংলাদেশের জলবায়ু। ফলে অন্য ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে টুর‍্যাগ অ্যাকটিভের পোশাক বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাভাবিকভাবেই আরামদায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্ট সবার আশা।

টুর‍্যাগ অ্যাকটিভ বিশ্বাস করে, দেশের বাজারে শিগগিরই নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরির পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও সফলতার সঙ্গে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে তারা। সেই লক্ষ্য পূরণেই কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। টুর‍্যাগ অ্যাকটিভের ফেসবুক পেজ: facebook.com/turaagactive