কেমন ছিল কুমুদিনীর ভিন্নধর্মী এই ফ্যাশন শো

ব্যতিক্রমী এই ফ্যাশন শো এর আয়োজন করে কুমুদিনীছবি : সংগৃহীত

গুলশানে কুমুদিনীর আউটলেটে ঢোকার মুখেই অতিথিদের হাতে পলাশ ফুলের মালা জড়িয়ে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছিল। ভেতরে বাজছিল রবীন্দ্রনাথের উৎসবের গান। সঙ্গে ছিল নানা রকম মুড়ি–মুড়কির আয়োজন। এমনই এক মনোমুগ্ধকর আবহে শুরু হলো কুমুদিনীর ভিন্নধর্মী এক ফ্যাশন শো।

ভিন্নধর্মী এই ফ্যাশন শো এর ভাবনা এসেছে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতী সাহার কাছ থেকে
ছবি : সংগৃহীত

যে শোয়ে ছিল না কোনো র‌্যাম্প, ছিলেন না কোনো পেশাদার মডেল। কুমুদিনীর ঈদপোশাক পরে যাঁরা হেঁটেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কুমুদিনীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আর ভিন্নধর্মী এই ভাবনা কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতী সাহার মাথা থেকে এসেছে। তাঁদের প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মেয়েরা ফ্যাশন শোতে অংশ নিতেন।

অনুষ্ঠানে অতিথীদের সঙ্গে আয়োজকেরা
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীমতী সাহাকে তাঁদের পরিবেশনা মুগ্ধ করে। ‘তাঁরা যদি পারেন, তবে আমাদের মেয়েরা কেন পারবে না’—এই ভাবনা থেকে কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং ইনস্টিটিউট ও রণদাপ্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়েই এই ফ্যাশন শো করার পরিকল্পনা করেন। শ্রীমতী সাহার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডিজাইনার বিবি রাসেল।

কুমুদিনীর পোশাকগুলোয় বরাবরই দেশীয় উপকরণের ব্যবহার করা হয়। নকশায় থাকে দেশীয় সূচিশৈলীর প্রাধান্য। ঈদপোশাকগুলোয়ও এমন নকশার প্রাধান্য চোখে পরল। রবীন্দ্রসংগীতের সুরে মডেলরা খুবই সাবলীলভাবে হেঁটে বেড়িয়েছেন কুমুদিনী বিল্ডিংয়ে তিনতলা থেকে নিচতলা। এমন ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় মুগ্ধ আগত অতিথিরা।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সংগীতশিল্পী, উপস্থাপকসহ আরও অনেকে এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।