জোড়াতালির ফ্যাশনে কাটুক শীত
কয়েক বছরে ধরেই ফ্যাশনে জনপ্রিয় এক ধারা জোড়াতালির নকশা (প্যাচওয়ার্ক)। শীতপোশাকেও এখন দেখা যাচ্ছে প্যাচওয়ার্ক। জ্যাকেট বা কটিতে জোড়া দেওয়া হচ্ছে কাপড়ের টুকরা। কখনো আবার এই কাপড়ের টুকরা দিয়ে তৈরি হচ্ছে চাদর।
টপ, কামিজের পাশাপাশি শাড়ির সঙ্গেও বেশ মানিয়ে যায় এসব চাদর। হালকা শীত তাড়াতে এসব কাপড় বেশ আরামদায়ক। যদিও কাপড় জোড়া দিয়ে এই প্যাচওয়ার্কের কাজ করা হয়, তবে এই কাজের ধরন বেশ সূক্ষ্ম হওয়ায় বাইরে থেকে বোঝার উপায়ই নেই যে তাতে জোড়া দেওয়া হয়েছে কাপড়ের টুকরা।
কখনো এই প্যাচওয়ার্কের ওপর করা হয় নকশিকাঁথার কাজ। তখন আলপনার মোটিফ হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানুষের মুখ, ফুল, লতাপাতা। আবার কখনো ব্লকের কাজেও রঙিন হয়ে উঠে জোড়া তালির এই নকশা। নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে তো বটেই, চাইলে যেকোনো আমন্ত্রণে প্যাচওয়ার্কের এসব পোশাক পরে উপস্থিত হতে পারেন।
প্যাচওয়ার্কের কাজে রঙিন কাপড়ে ব্যবহার করা হয় বেশি। এই কাজে যে পুরোনো কাপড়ের টুকরাই ব্যবহার করতে হবে তেমন নয়। চাইলে নতুন কাপড় জোড়া দিয়েও প্যাচওয়ার্ক করতে পারেন। কখনো পুরো জামাই, আবার কখনো জামার গলা, কাঁধ বা হাতে এই প্যাচওয়ার্ক করা হয়।
প্যাচওয়ার্কের পোশাক কেনার সময় জোড়া দেওয়া প্রতিটি কাপড়ের উপাদান যাতে এক থাকে, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। না হলে পোশাকটি অসামঞ্জস্য লাগবে।