কীভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন মিম

পান্না কায়সার চরিত্রটি করার জন্য অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম ছয় থেকে সাত কেজি ওজন বাড়িয়েছেন
ছবি : মিমের সৌজন্যে

ওয়াহিদ তারেকের পরিচালনায় ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামের ছবিতে শহীদুল্লা কায়সার-পান্না কায়সাররূপে মোস্তফা মন্ওয়ার-বিদ্যা সিনহা মিমকে কেমন দেখাবে, তার একটা ধারণা দিতে স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে।পান্না কায়সারের চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম ফেসবুকে ছবি পোস্টও করেছেন গতকাল। কপালে টিপ, মাথায় ঘোমটা, সাধারণ সুতি শাড়ি পরে তাকিয়ে আছেন ক্যামেরার দিকে, পাশে শহীদুল্লা কায়সার বেশে মোস্তফা মন্ওয়ার।

পান্না কায়সারের ভুরু মোটা ছিল, বিদ্যা সিনহা মিমের ভুরুতেও আনা হয়েছে সেই আদল।
ছবি : মিমের সৌজন্যে

ছবিতে চরিত্র অনুযায়ী সাদামাটা বাঙালি মেয়ের রূপটাই প্রকাশ পাবে, মিমকেও সেভাবেই সাজানো হয়েছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায় মিম বেগুনি রঙের সুতির শাড়ি পরে আছেন। চেহারার কোথাও সাজের কোনো বাহুল্য নেই। এই ছবির শুট চলাকালেই তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হচ্ছিল। শটের বিরতিতে জানালেন, পান্না কায়সারের বাস্তব জীবনের সঙ্গে নিজেকে মেলানোর জন্য লুকে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। আজ প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য এই সিনেমার আরও কিছু নতুন স্থিরচিত্র শেয়ার করলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম।

‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ চলচ্চিত্রে পান্না কায়সার চরিত্রে মিম ও শহীদুল্লা কায়সার চরিত্রে মোস্তফা মন্ওয়ারকে দেখা যাবে
ছবি : মিমের সৌজন্যে

‘চুলের রং বদলেছি। আমার চুলে হাইলাইট করা ছিল, পুরো চুল কালো করে ফেলেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছয়-সাত কেজি ওজন বাড়িয়েছি, ওয়াহিদ তারেকের পরামর্শে।’ পান্না কায়সারের ভুরু মোটা ছিল। বিদ্যা সিনহা মিমের ভুরুতেও আনা হয়েছে সে ধরনের আদল।

আরও পড়ুন
হাইলাইট করা চুল এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কালো করেছেন মিম
ছবি : মিমের সৌজন্যে

আজকেও সুতির শাড়ি পরেই শুট করছেন মিম। তিনি জানান, পান্না কায়সারের একটা আলাদা ব্যক্তিত্ব ছিল। তিনি পছন্দ করতেন সুতি শাড়ি। ছবিতে তাঁর লুকটা তুলে ধরার চেষ্টায় ব্যক্তিগতভাবে পান্না কায়সারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কস্টিউম ডিজাইনার চৌধুরী নওরিন ফেরদৌস। জেনেছেন পান্না কায়সারের সাজপোশাকের খুঁটিনাটি। ছবিতে মূলত চিকন পাড়ের সুতির শাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি যে রকম পরতে পছন্দ করতেন। মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে আছেন মোহাম্মদ তারেক। ছবিতে সাজ একদমই হালকা রাখা হয়েছে, মেকআপের ব্যবহার তেমন হয়নি। যতটুকু না করলেই নয়, ঠিক ততটুকুই করা হয়েছে।